চুয়াডাঙ্গা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জে বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আসমা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুর পর স্বজনদের কাঙ্ক্ষিত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় স্বামীর ভিটেমাটি ছাড়া আসমা বেওয়া বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছে। আসমা বেওয়া উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভাগদড়িয়া গ্রামের মৃত ময়নুল হক সরকারের স্ত্রী।

 

জানা যায়, প্রায় বছর ৫ আগে আসমার স্বামী ময়নুলের মৃত্যু হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই মেয়ে। পিতা ময়নুলের আপন ভাগ্নেদের সাথে দুই মেয়ের বিয়ে হয়। পরে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জেরে প্রায়ই আসমা বেওয়াকে ভাগী শরিকরা ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় ১৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত রোস্তম, মোস্তফা, শিউলী, আজিবর গংরা সংঘবদ্ধভাবে বসতবাড়িতে অনুপ্রবেশ করে আসমা বেওয়াকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে। এসময় তারা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তালা খুলে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে তাকে বাহিরে বের করে আবারও তালা দেয়। প্রাণের ভয়ে আসমা বেগম বর্তমানে স্বামীর ভিটেমাটি ঘর ছেড়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

 

ভুক্তভোগী আসমা বেওয়া জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চাঁদার সম্পূর্ণ টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আমাকে স্বামীর ভিটেমাটি ও ঘরে প্রবেশ করতে দেবে না। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

 

এজাহার জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

গোবিন্দগঞ্জে বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আসমা

প্রকাশ : ০৭:৪০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুর পর স্বজনদের কাঙ্ক্ষিত চাঁদার টাকা দিতে না পারায় স্বামীর ভিটেমাটি ছাড়া আসমা বেওয়া বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছে। আসমা বেওয়া উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভাগদড়িয়া গ্রামের মৃত ময়নুল হক সরকারের স্ত্রী।

 

জানা যায়, প্রায় বছর ৫ আগে আসমার স্বামী ময়নুলের মৃত্যু হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই মেয়ে। পিতা ময়নুলের আপন ভাগ্নেদের সাথে দুই মেয়ের বিয়ে হয়। পরে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জেরে প্রায়ই আসমা বেওয়াকে ভাগী শরিকরা ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় ১৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত রোস্তম, মোস্তফা, শিউলী, আজিবর গংরা সংঘবদ্ধভাবে বসতবাড়িতে অনুপ্রবেশ করে আসমা বেওয়াকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে। এসময় তারা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তালা খুলে ভুক্তভোগীর কাছে থাকা সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে তাকে বাহিরে বের করে আবারও তালা দেয়। প্রাণের ভয়ে আসমা বেগম বর্তমানে স্বামীর ভিটেমাটি ঘর ছেড়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

 

ভুক্তভোগী আসমা বেওয়া জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চাঁদার সম্পূর্ণ টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আমাকে স্বামীর ভিটেমাটি ও ঘরে প্রবেশ করতে দেবে না। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

 

এজাহার জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।