পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে পত্রিকায় খবর প্রকাশের জেরে ব্যবসায়ী কর্তৃক সাংবাদিক লাহ্নিতের ঘটনার মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ বিকেলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের নেতৃত্বে একটি অভিযানকারী দল উপজেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র ফকিরগঞ্জ বাজারে সার, কীটনাশক ও বীজের বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বাজারে ‘ মেসার্স আপন বীজ ভান্ডার’ যার স্বত্বাধিকারী উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দীনের পুত্র মোঃ আনিছুর রহমান (লেবু) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে মেয়াদোত্তীর্ণ কৃষি উপকরণ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত মালামাল আটোয়ারী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে বিনষ্ট করা হয়। খবরটি দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ সন্ধায় মেসার্স আপন বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আনিছুর রহমান (লেবু)সহ আরো দুইজন একটি মটরসাইকেল নিয়ে ভোরের দর্পণ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহেরুল ইসলামকে বাজারের সন্নিকটে পথরোধ করে। খবর প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মটরসাইকেলে থাকা দুইজন সহ আনিছুর রহমান(লেবু) সাংবাদিক জাহেরুল ইসলামকে মারপিটও করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে গেলে মটরসাইকেল নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। জাহেরুল ইসলামকে তাৎক্ষনিক আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পু: ১২ নং বিছানায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ওই দিনেই মেসার্স আপন বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোঃ আনিছুর রহমান কে প্রধান আসামী এবং ঘটনার সাথে জড়িত আরো দুইজনকে আসামী করে মোট তিন জনের নামে আটোয়ারী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলা নং -০৫, তারিখ: ১৫/০২/২০২৩।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা জানান, মামলা রুজু হওয়ার পরেই প্রধান আসামী আনিছুর রহমান বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে নিয়েছেন। অপর দুইজন আসামী পলাতক থাকার কারণে এতদিন গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামী গ্রেফতার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। গোপন সংবাদ পেয়ে ২৬ মার্চ রাতে এসআই মোঃ ওবায়দুল্লাহ’র নেতৃত্বে গিরাগাঁও গ্রামের মোঃ ময়নুল হকের পুত্র মীর মোঃ আজাহার আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ২৭ মার্চ সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আরো একজন পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।