চুয়াডাঙ্গা ০৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার দিনে বিশেষ আমল দরুদ পাঠ

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। অধিক মর্যাদাসম্পন্ন এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। ‘আল জুমা’ নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। জুমার দিনে মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা বলা আছে হাদিসে। এর মধ্যে একটি আমল হচ্ছে দরুদ পাঠ।

‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।’ (আবু দাউদ: ১০৪৭)

 

দরূদের মাধ্যমে যেভাবে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ হয়, তেমনি অর্জিত হয় নবী কারিম (স.)-এর নৈকট্য। প্রিয়নবী (স.) ঘোষণা করেন— أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً ‘কেয়ামতের দিন আমার নৈকট্য লাভ করবে ওই ব্যক্তি, যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে। (জামে তিরমিজি: ৪৮৪)

হাদিসে কুদসিতে মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ, জিব্রাইল (আ.) এইমাত্র আল্লাহ তায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর ১০বার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য ১০ বার ইস্তেগফার করে।’ (তারগিব: ৩/২৯৯)

 

জুমার দিনের এই বিশেষ আমল সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (স.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আছর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে’ (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬)। দরুদটি হলো— اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليمًا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’

 

অন্য হাদিসে হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (স.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)
সুতরাং হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত লাভের জন্য বিশেষ করে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উচিত।

 

অন্য দিনেও দরুদ পাঠের গুরুত্ব অসীম। আল্লাহর রহমত পেতে হলে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ওপর দরুদ পড়ার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহও প্রিয়নবীর ওপর দরুদ অবতীর্ণ করেন, ফেরেশতারাও নবী (স.)-এর প্রতি রহমত ও বরকত কামনা করেন। ‘হে মুমিন! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবী কারিম (স.)-এর প্রতি সবসময় দরুদ পাঠের তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠের মাধ্যমে প্রিয়নবীর নৈকট্য লাভের সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

জুমার দিনে বিশেষ আমল দরুদ পাঠ

আপডেটঃ ১১:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। অধিক মর্যাদাসম্পন্ন এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। ‘আল জুমা’ নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। জুমার দিনে মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা বলা আছে হাদিসে। এর মধ্যে একটি আমল হচ্ছে দরুদ পাঠ।

‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়।’ (আবু দাউদ: ১০৪৭)

 

দরূদের মাধ্যমে যেভাবে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ হয়, তেমনি অর্জিত হয় নবী কারিম (স.)-এর নৈকট্য। প্রিয়নবী (স.) ঘোষণা করেন— أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ القِيَامَةِ أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلاَةً ‘কেয়ামতের দিন আমার নৈকট্য লাভ করবে ওই ব্যক্তি, যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে। (জামে তিরমিজি: ৪৮৪)

হাদিসে কুদসিতে মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ, জিব্রাইল (আ.) এইমাত্র আল্লাহ তায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর ১০বার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য ১০ বার ইস্তেগফার করে।’ (তারগিব: ৩/২৯৯)

 

জুমার দিনের এই বিশেষ আমল সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (স.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আছর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে’ (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬)। দরুদটি হলো— اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليمًا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’

 

অন্য হাদিসে হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (স.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)
সুতরাং হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত লাভের জন্য বিশেষ করে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উচিত।

 

অন্য দিনেও দরুদ পাঠের গুরুত্ব অসীম। আল্লাহর রহমত পেতে হলে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ওপর দরুদ পড়ার বিকল্প নেই। মহান আল্লাহও প্রিয়নবীর ওপর দরুদ অবতীর্ণ করেন, ফেরেশতারাও নবী (স.)-এর প্রতি রহমত ও বরকত কামনা করেন। ‘হে মুমিন! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবী কারিম (স.)-এর প্রতি সবসময় দরুদ পাঠের তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠের মাধ্যমে প্রিয়নবীর নৈকট্য লাভের সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।