যশোরের ঝিকরগাছায় পৃথক দুটি অভিযানে মাদকদ্রব্য ৩৫৫গ্রাম গাঁজা সহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশের চৌকস টিম।
আটককৃত আসামীরা হলেন থানাধীন পানিসারা ইউনিয়নের কাউরিয়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলী চৌধুরীর ছেলে মোঃ ওলিয়ার রহমান (৬৩), পৌর সদরের পুরন্দরপুর গরুরহাট গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সুমন হোসেন (২৬) ও নির্বাসখোলা ইউনিয়নের বল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ নূর বক্স।
থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদকমুক্ত যশোর জেলা গঠনের লক্ষ্যে থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্তের সার্বিক দিক নির্দেশনায় গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে থানার এস.আই (নিঃ) সুমন বিশ্বাস, এএসআই(নিঃ) মোঃ ইকরামুল হকের নেতৃত্বে শুক্রবার (০৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটের সময় ঝিকরগাছা পান বাজারে ওলিয়ারের পানের দোকানের সামনে ঢালাই রাস্তার উপর হতে ২২৫গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রয়লব্ধ নগদ ১৮ হাজার ৫শত ৩০ টাকাসহ মোঃ ওলিয়ার রহমান ও ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ সুমন হোসেনকে আটক করে।
থানায় আসামীদ্বের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১৯(ক) ধারায় মামলা রুজু করে শনিবার (০৮জুলাই) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে। থানায় মামলা নং ০৭, তারিখ-০৭/০৭/২০২৩ইং।
অপরদিকে রাত ৮টা ২০মিনিটের সময় এসআই (নিঃ) দেবব্রত ঘোষ, এএসআই (নিঃ) মোঃ অহিদুল ইসলাম, মোঃ সোহেল রানার নেতৃত্বে বল্লা গ্রামস্থ নূর বক্সের চায়ের দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হতে ১০৫ গ্রাম গাঁজাসহ মোঃ নূর বক্সকে আটক করে। আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১৯(ক) ধারায় মামলা রুজু করে শনিবার (০৮জুলাই) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে। থানায় মামলা নং ০৮, তারিখ-০৭/০৭/২০২৩ইং।
থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, আমার কর্তব্যরত থানা এলাকাকে মাদকের জিরো টলারেন্স করতে যে যে পদক্ষেপ গ্রহণের দরকার সেটা আমি করবো। আপনারা যদি আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমার কাজ করতে সুবিধা হবে। তবে আটককৃত আসামী ওলিয়ারের বিরুদ্ধে পূর্বে ডাকাতি করার তথ্য পাওয়া গেছে।
সেটার বিষয়ে ওলিয়ারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের দিকে ঝিকরগাছা বাজারের একটা ডাকাতির মামলা ছিলো বর্তমানে সেটা মিমাংসা হয়ে গেছে। থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে আসামীদ্বয়কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দিয়ে শনিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।