চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নে ইতোপূর্বে সৌদি আরবের মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ ঘোষণা করে।
ছবি: গালফ নিউজ
“>
ছবি: গালফ নিউজ
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নে ইতোপূর্বে সৌদি আরবের মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ ঘোষণা করে।
ছবি: গালফ নিউজ
“>
ছবি: গালফ নিউজ
চলতি নভেম্বর মাসে শ্রম আইন সংশোধন করে কাফালা ভিত্তিক বাধ্যতামূলক নিয়োগ চুক্তি শিথিলের কথা জানিয়েছিল সৌদি আরবের মানব সম্পদ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এবার সেই সংশোধনী যেসব শর্তের আওতায় কার্যকর হবে- সেই শর্তগুলো জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানির বৃহত্তম বাজার সৌদি আরবে এর প্রভাব বিপুল পরিমাণ প্রবাসী কর্মীর উপর পড়তে চলেছে।
আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়টির বরাতে গালফ নিউজ জানিয়েছে, কর্মস্থল বদলে বিদেশি কর্মীদের বাড়তি কোনো অর্থ দিতে হবে না। এক্ষেত্রে প্রথম চুক্তির আওতায় থাকা নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করা থাকলেই চলবে। পাশপাশি কর্মী ভিসাতেও এরফলে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।
নিয়োগদাতার অনুমতি ছাড়াই যেসব শর্তের আওতায় কর্মীরা এই সুবিধা নিতে পারবেন, সেগুলো তুলে ধরা হলো;
১. সৌদিতে প্রবেশের তিন মাস পরও নিয়োগদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজের চুক্তিপত্র দিতে ব্যর্থ হলে,
২. টানা তিন মাস কোনো কর্মীকে চুক্তিপত্রে উল্লেখিত বেতন-ভাতা প্রদান না করা হলে,
৩. ভ্রমণ, কারাবাস, মৃত্যু বা অন্য কোনো কারণে যদি নিয়োগদাতা অনুপস্থিত থাকেন,
৪. ইকামা বা কর্ম-ভিসার আওতায় সৌদিতে অবস্থানের সময় পেরিয়ে গেলে মালিকের অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরব ত্যাগ করতে পারবেন কর্মীরা,
৫. ব্যবসায় মালিকের অসাধুতা অবলম্বনের কোনো অভিযোগ যদি প্রবাসী কর্মী করেন এবং অভিযোগকারী যদি সেই অন্যায়ে নিজে জড়িত না হন, সেক্ষেত্রেও তার নিরাপত্তা বিবেচনায় কর্মস্থল বদলের সুযোগ থাকবে,
৬. নিয়োগদাতা অবৈধ মানব পাচারে জড়িত- কর্মীর কাছে এমন সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকলে,
৭. শ্রম পরিবেশ নিয়ে মালিকের অসঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে এবং অনুরোধ সত্ত্বেও নিয়োগদাতার প্রতিনিধি সেই বিরোধ অবসানের শুনানি গ্রহণ করতে পরপর দুইবার ব্যর্থ হলে বা শান্তিপূর্ণ সমাধান না করতে পারলে,
৮. বর্তমান নিয়োগদাতা যদি কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেক্ষেত্রেও চাকরি বদলানো যাবে।
নিয়োগদাতাদের জন্য শর্ত:
বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে চান এমন চাকরিদাতারাও এসব সংশোধনীর আওতায় পড়বেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের বর্তমান কর্মীকে ভিসা ফেরত দেওয়া-সহ চারটি মূল শর্তপূরণ করতে হবে।
এসব শর্তের মধ্যে আছে সৌদি আরবের ভিসা আইন অনুসারে কর্মী ভিসা সংগ্রহ ও হস্তান্তর, বেতন-ভাতা সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রণীত শর্ত মেনে চলা, ইত্যাদি।
অতিরিক্ত কিছু শর্তের আলোকে শ্রমিকদের চুক্তির দলিল আইনি প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করে- তা ডিজিটাল মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত কর্ম-পরিবেশ মূল্যায়নে নিজস্ব উদ্যোগও রাখতে হবে তাদের।