মেহেরপুরের গাংনীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামদার আঘাতে সাহারুল ইসলাম (২০), ফিরোজ আলী (১৬) ও সাহাজুল ইসলাম (৩২) নামের তিনজন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার মাইলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাহারুল মাইলমারী সর্দারপাড়ার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে, ফিরোজ মহাজিতের ছেলে এবং সাহাজুল মৃত ফজল শেখের ছেলে।
জানা গেছে, মাইলমারী গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে লক্ষীনারায়ণপুরে বসবাসরত তমাল হোসেনের সাথে রং মিস্ত্রির কাজে যান সাহারুল। মজুরি বাবদ তমালের কাছ থেকে ৫০০ টাকা পাওনা থাকলেও সাহারুলকে দেওয়া হয় ৩৫০ টাকা। এ নিয়ে তমাল, তমালের ছেলে লালন ও সাহারুলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাহারুলকে মারধর করে তমাল ও লালন। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাহারুলের পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে বিষয়টি মীমাংসা করতেগেলে হঠাৎ মাইলমারী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান বাচ্চুর ছেলে রনিসহ ৪/৫ জন রামদা, ইট ও বাটাম নিয়ে ছুটে এসে সাহারুল, ফিরোজ ও সাহাজুলকে মারধর করে আহত করেন।
সাহারুল বলেন, ঘটনা মীমাংসা হয়ে গেলেও তমালের পক্ষ নিয়ে রনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রামদার উল্টো পিঠ দিয়ে আঘাত করে আমাদের ৩ জনকে আহত করেন। সাহাজুল বলেন, আমি সাইকেল মেকানিক। বাজারে ব্যবসা করতে হবে আমাকে। যদিও অন্যায়ভাবে আমাকে মারা হয়েছে কিন্তু এর সুষ্ঠু বিচার চাইলে বাজারে আর আমাকে ব্যবসা করতে দেবে না। সুতরাং এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারব না।
ফিরোজ বলেন, সাহারুলকে মারধরের কথা শুনে মাইলমারী বাজারে গেলে বাটাম দিয়ে আমাকেও মারধর করা হয়। অন্যায়ভাবে তারা মেরেছেন। এর একটা সুষ্ঠু বিচার দাবি চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে রনির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন আরেকজন ধরেন। তমালের সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।