চুয়াডাঙ্গা ১১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেহে লৌহের ঘাটতি বোঝার লক্ষণ

লৌহের অভাব শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা, দুর্বলতা, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

লোহিত রক্ত কণিকা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

এটা ফুসফুস থেকে দেহে অক্সিজেন সরবারহ করতে এবং কার্বনডাইঅক্সাইড বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।

লৌহের ঘাটতি দেখা দেয় ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূণ্যতা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, লৌহ একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা রক্তে লোহিত কণিকায় অক্সিজেন সরবারহকারী উপাদান তৈরিতে দেহকে সাহায্য করে। এটা হিমোগ্লোবিন নামে পরিচিত।

দেহে লৌহের ঘাটতি হলে নানান লক্ষণ দেখা দেয়।

 

 

শক্তি হ্রাস ও দুর্বল অনুভূতি

রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার অভাবে ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। দেহকোষে অক্সিজেন সরবারহে ব্যাঘাত ঘটলে এই সমস্যা হয়।

লৌহের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তিভাব ও দুর্বলতা। এর ফলে অনেকের অল্প কাজে দুর্বলতা, ঘুমে সমস্যা দেখা দেয়।

দ্রুত হৃদগতি

লৌহ হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়ায় যা রক্তে অক্সিজেন বহনকারী লোহিত কণিকার প্রোটিন হিসেবে কাজ করে। হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা বা অভাবে হৃদগতি দ্রুত হয় ফলে অক্সিজেন সংবহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

যে কারণে অনিয়মিত হৃদগতি, দ্রুত শ্বাস গ্রহণ, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া এমনকি বুক ধড়ফড় করা দেখা দিতে পারে।

 

 

শ্বাসের স্বল্পতা

যুক্তারাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল হার্ট, লাঙ অ্যান্ড ব্লাড ইন্সটিটিউট’ অনুযায়ী, যাদের হালকা বা মাঝারি লৌহের ঘাটতি বা ‘অ্যানিমিয়া’ আছে তাদের মাঝে লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। এক্ষেত্রে, শ্বাসের স্বল্পতা অন্যতম লক্ষণ।

লৌহের ঘাটতির ফলে, লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন সীমিত হয়। হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে শরীরের ভেতরের অংশে অক্সিজেন সরবারহ করতে সহায়তা করলেও উৎপাদন কমাতে শরীরের সব অংশে ঠিক মতো অক্সিজেন সরবরাহ হয় না।

 

 

লক্ষণীয় কিছু সাধারণ বিষয়

মায়ো ক্লিনিকের মতে, লৌহের অভাবে ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূন্যতার ফলে ত্বক নির্জীব, বুক ব্যথা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তিভাব, হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, গলায় ব্যথা, ভঙ্গুর নখ এমনকি ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়।

যারা হুমকির মুখে আছে

সাধারণত, নারীদের মাঝে বিশেষ করে রজঃচক্র চলাকালীন রক্ত বের হয়ে যাওয়ার ফলে খনিজের ঘাটতি দেখা দেয়। যারা তৃণভোজী তাদের মাঝেও লৌহের ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ লৌহের মূল উৎস হল মাংস।

মায়ো ক্লিনিকের মতে, শিশু বিশেষত যারা কম ওজন নিয়ে জন্মিয়েছে বা সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং যারা পর্যাপ্ত মায়ের বুকের দুধ পান করতে পারেনি, তাদের মাঝে লৌহের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়।

 

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

দেহে লৌহের ঘাটতি বোঝার লক্ষণ

প্রকাশ : ০৭:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

লৌহের অভাব শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা, দুর্বলতা, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

লোহিত রক্ত কণিকা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।

এটা ফুসফুস থেকে দেহে অক্সিজেন সরবারহ করতে এবং কার্বনডাইঅক্সাইড বের করে দিতে ভূমিকা রাখে।

লৌহের ঘাটতি দেখা দেয় ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূণ্যতা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের তথ্যানুসারে, লৌহ একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা রক্তে লোহিত কণিকায় অক্সিজেন সরবারহকারী উপাদান তৈরিতে দেহকে সাহায্য করে। এটা হিমোগ্লোবিন নামে পরিচিত।

দেহে লৌহের ঘাটতি হলে নানান লক্ষণ দেখা দেয়।

 

 

শক্তি হ্রাস ও দুর্বল অনুভূতি

রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার অভাবে ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। দেহকোষে অক্সিজেন সরবারহে ব্যাঘাত ঘটলে এই সমস্যা হয়।

লৌহের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ হল ক্লান্তিভাব ও দুর্বলতা। এর ফলে অনেকের অল্প কাজে দুর্বলতা, ঘুমে সমস্যা দেখা দেয়।

দ্রুত হৃদগতি

লৌহ হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়ায় যা রক্তে অক্সিজেন বহনকারী লোহিত কণিকার প্রোটিন হিসেবে কাজ করে। হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা বা অভাবে হৃদগতি দ্রুত হয় ফলে অক্সিজেন সংবহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

যে কারণে অনিয়মিত হৃদগতি, দ্রুত শ্বাস গ্রহণ, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া এমনকি বুক ধড়ফড় করা দেখা দিতে পারে।

 

 

শ্বাসের স্বল্পতা

যুক্তারাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল হার্ট, লাঙ অ্যান্ড ব্লাড ইন্সটিটিউট’ অনুযায়ী, যাদের হালকা বা মাঝারি লৌহের ঘাটতি বা ‘অ্যানিমিয়া’ আছে তাদের মাঝে লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। এক্ষেত্রে, শ্বাসের স্বল্পতা অন্যতম লক্ষণ।

লৌহের ঘাটতির ফলে, লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন সীমিত হয়। হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে শরীরের ভেতরের অংশে অক্সিজেন সরবারহ করতে সহায়তা করলেও উৎপাদন কমাতে শরীরের সব অংশে ঠিক মতো অক্সিজেন সরবরাহ হয় না।

 

 

লক্ষণীয় কিছু সাধারণ বিষয়

মায়ো ক্লিনিকের মতে, লৌহের অভাবে ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূন্যতার ফলে ত্বক নির্জীব, বুক ব্যথা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তিভাব, হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, গলায় ব্যথা, ভঙ্গুর নখ এমনকি ক্ষুধা মন্দা দেখা দেয়।

যারা হুমকির মুখে আছে

সাধারণত, নারীদের মাঝে বিশেষ করে রজঃচক্র চলাকালীন রক্ত বের হয়ে যাওয়ার ফলে খনিজের ঘাটতি দেখা দেয়। যারা তৃণভোজী তাদের মাঝেও লৌহের ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ লৌহের মূল উৎস হল মাংস।

মায়ো ক্লিনিকের মতে, শিশু বিশেষত যারা কম ওজন নিয়ে জন্মিয়েছে বা সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এবং যারা পর্যাপ্ত মায়ের বুকের দুধ পান করতে পারেনি, তাদের মাঝে লৌহের ঘাটতি বেশি দেখা দেয়।