চুয়াডাঙ্গা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় মাদক মামলার স্বাক্ষীদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

মোংলায় মাদক মামলার স্বাক্ষীদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন আসামীর পরিবারের সদস্যরা। এতে আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। এ ঘটনায় আহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

আহতের পরিবার ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনিরঘোলের বটতলা বাজারের বাসিন্দা নুর আলী শেখের ছেলে রাজ্জাক শেখকে মাসখানেক আগে ফেলুরখন্ড এলাকা থেকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। ওই সময় উপস্থিল লোকজনকে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় সাক্ষী করে পুলিশ। সেই মামলার সাক্ষীদের মধ্যে ইদ্রিস শেখ ও ইসরাফিল শেখ রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়মনিরঘোলের বটতলা বাজারে চিংড়ির পোনা কিনতে গেলে আসামি রাজ্জাকের পরিবার তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রাজ্জাকের বাবা নুর আলী শেখ, মা রহিমন বেগম, ভাই সজিব, শাকিল ও দুলাভাই সোহেল দা, রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলে পড়ে ইদ্রিসকে কুপিয়ে ও ইসরাফিলকে পিটিয়ে জখম করেন।

 

ঘটনাস্থল থেকে ইদ্রিস ও মোসলেমকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই সময় আরো আহত হন ইদ্রিস ও ইস্রাফিলের সাথে থাকা অপর পোনা ব্যবসায়ী সাইফুল ও মিরাজ। হামলায় গুরুতর আহত ইদ্রিস ও মোসলেম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ইদ্রিস ও মোসলেমের মাথায় দায়ের কোপে মারাত্মক জখম হয়েছে। এ ঘটনায় ইদ্রিসের বোন মিনারা বেগম বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে থানায় হামলাকারী মাদক মামলার আসামীর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

আহত ইদ্রিস ও ইস্রাফিল বলেন, আমাদের আলাদা আলাদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। ঘেরের জন্য পোনা কিনতে গেলে নুর আলী শেখসহ তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন মিলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর মুল কারণ হলো নুর আলী শেখের বড় ছেলে রাজ্জাককে মাসখানেক আগে ইয়াবাসহ আটক করেছিলেন পুলিশ। ওই সময় উপস্থিত মতে পুলিশ আমাদেরকে ওই মাদক মামলায় স্বাক্ষী করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীর পরিবার আমাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছেন। আর আসামী রাজ্জাক ওই মাদকের মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

 

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের তদন্তও চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

দর্শনায় যৌথ বাহীনির অভিযানে ৬ যুবক আটক

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

মোংলায় মাদক মামলার স্বাক্ষীদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

প্রকাশ : ০৭:০৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

মোংলায় মাদক মামলার স্বাক্ষীদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন আসামীর পরিবারের সদস্যরা। এতে আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। এ ঘটনায় আহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

আহতের পরিবার ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনিরঘোলের বটতলা বাজারের বাসিন্দা নুর আলী শেখের ছেলে রাজ্জাক শেখকে মাসখানেক আগে ফেলুরখন্ড এলাকা থেকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। ওই সময় উপস্থিল লোকজনকে রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় সাক্ষী করে পুলিশ। সেই মামলার সাক্ষীদের মধ্যে ইদ্রিস শেখ ও ইসরাফিল শেখ রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়মনিরঘোলের বটতলা বাজারে চিংড়ির পোনা কিনতে গেলে আসামি রাজ্জাকের পরিবার তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় রাজ্জাকের বাবা নুর আলী শেখ, মা রহিমন বেগম, ভাই সজিব, শাকিল ও দুলাভাই সোহেল দা, রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে হামলে পড়ে ইদ্রিসকে কুপিয়ে ও ইসরাফিলকে পিটিয়ে জখম করেন।

 

ঘটনাস্থল থেকে ইদ্রিস ও মোসলেমকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই সময় আরো আহত হন ইদ্রিস ও ইস্রাফিলের সাথে থাকা অপর পোনা ব্যবসায়ী সাইফুল ও মিরাজ। হামলায় গুরুতর আহত ইদ্রিস ও মোসলেম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ইদ্রিস ও মোসলেমের মাথায় দায়ের কোপে মারাত্মক জখম হয়েছে। এ ঘটনায় ইদ্রিসের বোন মিনারা বেগম বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে থানায় হামলাকারী মাদক মামলার আসামীর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

আহত ইদ্রিস ও ইস্রাফিল বলেন, আমাদের আলাদা আলাদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। ঘেরের জন্য পোনা কিনতে গেলে নুর আলী শেখসহ তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন মিলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর মুল কারণ হলো নুর আলী শেখের বড় ছেলে রাজ্জাককে মাসখানেক আগে ইয়াবাসহ আটক করেছিলেন পুলিশ। ওই সময় উপস্থিত মতে পুলিশ আমাদেরকে ওই মাদক মামলায় স্বাক্ষী করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীর পরিবার আমাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছেন। আর আসামী রাজ্জাক ওই মাদকের মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

 

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের তদন্তও চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।