চুয়াডাঙ্গা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে গণ জমায়েত জামায়াতে ইসলামীর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Pliwc Job circular 2025 ৪০৮ আরোহী নিয়ে ভারতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান ফ্যাসিবাদ যতই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, পারবে না: জামায়াত আমির দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? | Barta Bazar আমরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী : ড. ইউনূস জীবন বীমা কর্পোরেশন চাকরির খবর JBC Job Circular 2025 তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসর, অন্যদের ওএসডির সিদ্ধান্ত

গাইবান্ধায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে মহসীন আলী (২৭) নামে এক ঘাতক স্বামী আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানাগেছে। অভিযুক্ত স্বামী মহসীন সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

 

(৮ জুলাই) রাত সাড়ে আট টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের হাতে থাকা একটি চিরকুট উদ্ধার করে তারা।

 

পুলিশের ধারণা, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শেফালী খাতুন নামে ওই গৃহবধূকে হত্যা করেছে মহসীন আলী। পরে শয়ন কক্ষে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৪ বছর আগে মহসীন আলীর সাথে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী খাতুনের বিয়ে হয়। মহসীন আলী কোনো কাজ কর্ম করত না। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ চলতো।পাশাপাশি শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় মহসীন ক্ষুব্ধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ঝগড়ার একপর্যায়ে মহসীন আলী স্ত্রীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে শেফালীকে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল। এতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারো কোনো দোষ নেই’। এরপর সে প্রতিবেশীদের জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে।

 

এদিকে,এ খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাদুল্লাপুর থানায় ছুটে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান,এটি একটি খুনের ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, ঘাতক স্বামী অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল। সে স্ত্রীকে চারিত্রিক-ভাবে সন্দেহ করত। এছাড়াও স্ত্রী ‘কুফরি কালাম’ করত, এ পুরো ব্যাপারটিকে আরও ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হবে।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. মাহাবুর রহমান বলেন, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের ওপর থেকে সন্দেহ সরাতে সে ওই কাজটি করেন। পুলিশ ব্যাপারটি আরও খতিয়ে দেখছে।

avashnews

দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে গণ জমায়েত জামায়াতে ইসলামীর

avashnews

Powered by WooCommerce

গাইবান্ধায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ

আপডেটঃ ০৭:০৯:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় গিয়ে মহসীন আলী (২৭) নামে এক ঘাতক স্বামী আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানাগেছে। অভিযুক্ত স্বামী মহসীন সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

 

(৮ জুলাই) রাত সাড়ে আট টার দিকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহতের হাতে থাকা একটি চিরকুট উদ্ধার করে তারা।

 

পুলিশের ধারণা, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শেফালী খাতুন নামে ওই গৃহবধূকে হত্যা করেছে মহসীন আলী। পরে শয়ন কক্ষে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৪ বছর আগে মহসীন আলীর সাথে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী খাতুনের বিয়ে হয়। মহসীন আলী কোনো কাজ কর্ম করত না। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ চলতো।পাশাপাশি শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় মহসীন ক্ষুব্ধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ঝগড়ার একপর্যায়ে মহসীন আলী স্ত্রীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে শেফালীকে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল। এতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারো কোনো দোষ নেই’। এরপর সে প্রতিবেশীদের জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে।

 

এদিকে,এ খবর পেয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাদুল্লাপুর থানায় ছুটে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান,এটি একটি খুনের ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, ঘাতক স্বামী অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল। সে স্ত্রীকে চারিত্রিক-ভাবে সন্দেহ করত। এছাড়াও স্ত্রী ‘কুফরি কালাম’ করত, এ পুরো ব্যাপারটিকে আরও ব্যাপকভাবে তদন্ত করা হবে।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. মাহাবুর রহমান বলেন, ওই চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে। নিজের ওপর থেকে সন্দেহ সরাতে সে ওই কাজটি করেন। পুলিশ ব্যাপারটি আরও খতিয়ে দেখছে।