যশোরে পরকীয়ার জেরে অভিনব কায়দায় স্বামীকে হত্যা করেছে স্ত্রী।স্বামীকে হত্যার পর হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি ঘাতক স্ত্রী ও হত্যার পরিকল্পনাকারী প্রেমিকের। দুইজনকেই পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ও অ্যাসিড পুশ করে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী।নিহত জহির হাসান (৩৮) যশোর শহরের হুশতলার মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভিন্ন কৌশলে স্বামীকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন শেফালি। বেসরকারি হাসপাতাল মাতৃসেবার আয়া শেফালির সাথে শহরের শংকরপুরের রবিউল সরদার নামে এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক।
এ নিয়ে আগের দিন স্বামী জহিরের সাথে তার গোলযোগ হয়। পরদিন দুপুরে প্রথমে স্বামীর খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন তিনি। ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়ার পর ওই দিন সন্ধ্যার দিকে তার শরীরে ভিজিয়ে রাখা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থেকে নিসৃত অ্যাসিড সিরিঞ্জের মাধ্যমে পুশ করেন শেফালি। এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তারের পর বিকেলে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ও পুলিশ জানায়, পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে জহির হাসান গাজীকে হত্যা করা হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার বিকেলে স্ত্রী শেফালী অভনব কায়দায় প্রথমে ঘুমের ওষুধ সেবন করিয়ে স্বামীকে অচেতন করেন। এরপর মোবাইলের ব্যাটারি থেকে সিরিঞ্জের মাধ্যমে এসিড বের করে স্বামীর শরীরে পুশ করেন। কিছু সময়ের মধ্যেই জহির মৃত্যুবরণ করেন। পরে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে দাবি করে নাটক করেন স্ত্রী শেফালী।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের ভাই গাজী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। যশোর ডিবি পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত মোবাইল ও মোবাইলের সেই ভাঙা ব্যাটারি, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, ঘুমের ওষুধ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।