নওগাঁর মহাদেবপুরে এক সন্তানের জননী মিষ্টি রানী মন্ডলকে (২১) শ্বাসরোধের পর হাতের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুজন চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে। মিষ্টি রানী মন্ডল উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের হামিদপুর ব্যাড়াপাড়া গ্রামের সুজন চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী ও এনায়েতপুর ইউনিয়নের ইটালী গ্রামের অমীয় চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে হামিদপুর ব্যাড়াপাড়া গ্রামে। নিহতের জেঠিমা লিপি বানী মন্ডল জানান, তাদের মেয়ে গলায় গড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে হামিদপুর গ্রামে জামাই বাড়িতে গিয়ে দেখেন মিষ্টিকে একটি চৌকীতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তখনও সে জীবিত ছিলো।
তিনি মিষ্টিকে নাম ধরে ডাকলে সে চোখ মেলে তাকায়। এ সময় দ্রুত পুলিশের গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, লাশের দুই হাতের কবজির পাশে বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো ব্লেড দিয়ে রগগুলো কেটে দেয়ায় রক্ত ঝরছিল। এ ছাড়াও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাতের রগগুলো কেটে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, প্রায় ৩ বছর আগে মিষ্টি রানী মন্ডলের সাথে হামিদপুর ব্যাড়াপাড়া গ্রামের সুরজিত চন্দ্র মন্ডলের ছেলে এবং মহাদেবপুর সোনারপট্টির সুইটি জুয়েলার্সের মালিক সুজন মন্ডলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে প্রায় ১ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। স্বামী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি তবে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।