চুয়াডাঙ্গা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

ফাইল ফটো

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। এতে চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পেতে যাচ্ছে বলে আশা করছে সরকার।

 

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, প্রতি বছর পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারের মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) মেয়াদ থাকে। সরকার নতুন করে আইপি না দেয়ায় বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার নতুন করে আইপি দিলে তারপর আমদানি করা যাবে।

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে এসআরও (স্ট্যাটুটারি রুলস অ্যান্ড অর্ডার)-এর মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করত। তবে সেটা ১৫ মার্চের পর আর থাকছে না। এখন ব্যবসায়ীরা যদি নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জোগাড় করে পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় করতে পারবে।

 

কাস্টমস-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ আরো বলেন, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে এ কথা বিবেচনা করে ও দেশের কৃষকদের পেঁয়াজের বাজার মূল্য সঠিক পাওয়ার জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পেয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে দেশীয় কৃষকরা তাদের চাষ করা পেঁয়াজের সঠিক মূল্য পাবেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, পরে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে।

 

এদিকে অন্য বছরের মতো এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রবটির দাম না বাড়ে সেদিকে সরকারকে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

ক্রেতারা জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে প্রতিবার রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই সরকারকে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।

 

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শামিম হোসেন জানান, চাহিদা কম থাকায় এবার রোজার আগে আপাতত পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা নেই। তবে দেশে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানি নিষিদ্ধ না করে কোটা নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি।

 

এদিকে চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নয় হাজার ৮৮৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন ও দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকায় দুই মাস ধরে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ অনেকাংশে কমেছে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দর এলাকার খোলা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Powered by WooCommerce

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

আপডেটঃ ০৮:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। এতে চাষিদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পেতে যাচ্ছে বলে আশা করছে সরকার।

 

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, প্রতি বছর পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারের মার্চের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) মেয়াদ থাকে। সরকার নতুন করে আইপি না দেয়ায় বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার নতুন করে আইপি দিলে তারপর আমদানি করা যাবে।

 

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে এসআরও (স্ট্যাটুটারি রুলস অ্যান্ড অর্ডার)-এর মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করত। তবে সেটা ১৫ মার্চের পর আর থাকছে না। এখন ব্যবসায়ীরা যদি নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জোগাড় করে পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় করতে পারবে।

 

কাস্টমস-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ আরো বলেন, দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে এ কথা বিবেচনা করে ও দেশের কৃষকদের পেঁয়াজের বাজার মূল্য সঠিক পাওয়ার জন্য ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পেয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে দেশীয় কৃষকরা তাদের চাষ করা পেঁয়াজের সঠিক মূল্য পাবেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং কেন্দ্রের কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, পরে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে।

 

এদিকে অন্য বছরের মতো এবার রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রবটির দাম না বাড়ে সেদিকে সরকারকে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

 

ক্রেতারা জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে প্রতিবার রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই সরকারকে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।

 

বেনাপোল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শামিম হোসেন জানান, চাহিদা কম থাকায় এবার রোজার আগে আপাতত পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা নেই। তবে দেশে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানি নিষিদ্ধ না করে কোটা নির্ধারণ করার দাবি জানান তিনি।

 

এদিকে চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে নয় হাজার ৮৮৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন ও দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকায় দুই মাস ধরে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ অনেকাংশে কমেছে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দর এলাকার খোলা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।