চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় বিভিন্ন মাঠের বোরো ২৮ ধান ক্ষেতে ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছ ব্লাস্ট রোগ। সকল খরচ শেষ করে পাকা ধান ঘরে তোলার আগ মুহুতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ফসল পুড়ে নষ্ট হবায়-দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের পরামর্শে বালাই নাশক প্রয়োগ করেও কোনো প্রকার প্রতিকার পাচ্ছেনা কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় ৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। সামান্য কিছু জায়গা ছাড়া সব এলাকাতেই বাম্পার ফলন হয়েছে। এরমধ্যে ব্রি-২৮ ও ব্রি ৪২ জাতের আবাদ হয়েছে ১হাজার ২০ হেক্টর জমিতে।
অন্যান্য জাতের ধান ক্ষেত গুলো তেমন আক্রান্ত হয়নি।ব্রি-২৮ও ৪২ জাতের ধান গুলোতে এই ছত্রাক জনিত রোগ দেখা দিয়েছে।ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত ফরজনের ছেলে মুছা করিম জানান, তিনি ৩বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছে। তার চাষের খরচ প্রায় শেষের দিকে। ধান ফুলে সেরে গেছে হঠাৎ ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ধানের শীষগুলো আস্তে আস্তে সাদা হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। শীষের গোড়া থেকে এ রোগ দেখা দিচ্ছে। পরে আস্তে আস্তে পুরো শীষ শুকিয়ে শীষের ধানগুলো চিটা হয়ে যাচ্ছে।
কৃষি বিভাগ বালাই নাশক দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু এতেও কোনও কাজ হচ্ছে না। বিশেষ করে ব্রি ধান- ২৮ও ৪২ জাতের ধানে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তার ক্ষেতের অর্ধেক শীষ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হবে ক্ষেতে যেতে আর মন চাচ্ছে না। ধানের ফলন অর্ধেক হবেনা এখন ছেলে পুলে নিয়ে কী খাব ভেবে পাচ্ছি না।
কোমরপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মাহাবুবুর রহমান মনি বলেন, সে ২৩ কাঠা জমিতে ব্রি ২৮ ধানের চাষ করেছে।একই রোগে তার ক্ষেতের অর্ধেকের বেশী ধানের শীষ মুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান মনির জান মোৗলভীবাজারের শ্র্রীমঙ্গলে ব্রি ২৮ ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকশ বিঘা জমির ধান একেবারেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমরা কৃষকদের এই জাতের আবাদ করতে নিরুৎসাহিত করেছি। তারপরে ও অনেক চাষি বাজারের বীজ ঘরগুলো থেকে বীজ কিনে আবাদ করেছে।ফসল রক্ষার্থে বালাই নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।