চুয়াডাঙ্গা ০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানীর ১” শ” কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন

দেশের দক্ষিণান্চলের একমাত্র অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানী শুধুমাত্র আখ থেকে চিনি, চিটাগুড়, বায়োফার্টিলাইজার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও উন্নত মানের দেশী-বিদেশী স্প্রিরিট লিকার উৎপাদন এবং বাজারজাত করে ১”শ” কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন। হাইব্রিড জাতের আখ উৎপাদন ও আখচাষ বাড়ানো গেলে কেরু কোম্পানীর সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে বলে এলাকার আখচাষীরা জানালেন।

 

কেরু চিনিকল সুত্রে জানা গেছে ৩ হাজার ৫শ ৭২ একর নিজস্ব জমি নিয়ে ১৯৩৮ সালে দর্শনায় কেরু এন্ড কোম্পানী নামে একটি কমপ্লেক্স স্থাপিত হয়। কেরুর নিজস্ব ২হাজার ৪শ৫০ একর ও এলাকার আখচাষীদের আড়াই হাজার একর জমিতে আখচাষ শুরু করা হয়। আখ থেকে চিনি বের করে নেয়ার পর মোলাসেচ বা চিটাগুড়,ব্যাকাজ বা ছোবড়া ও প্রেসমাড বা গাদ নামে আরো ৩টি উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। দ্রব্য গুলো প্রক্রিয়া করে কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার,রেক্টিফাইট স্প্রিরিট, এক্সটা নিউট্রা এলকোহল, ডিনেচার্ড স্প্রিরিট, এবসুলিট এলকোহল তৈরি হয়। যা থেকে দেশী স্প্রিরিট ও ৯টি ব্রান্ডের বিদেশী ফরেন লিকার উৎপাদন করা হয়।

 

 

১৮০, ৩৭৫ ও ৭৫০ এম এল এর বোতলজাত করে বছরে ৩৯ লাখ ২০ হাজার বোতল ফরেন লিকার ও ২৬ লাখ লিটার কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার উৎপাদন করা হয়। দেশে কেরুর উৎপাদিত পন্য বিক্রি করার জন্য নিজস্ব ১৩টি ওয়্যার হাউজ ও ৩টি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চলতি বছরে কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে দুটি নতুন বিক্রয় কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে, এবং রামু ও রাজশাহীতে দুটি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে কেরুর জি এম (প্রশাসন) জানিয়েছেন।

 

২০২২ সালে এ সব কেন্দ্রে কেরুর উৎপাদিত পন্য চিনি, বায়োফার্টিলাইজার,হ্যান্ড স্যানিটাইজার, কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার ও ফরেন লিকার স্প্রিরিট বাজারজাত ও বিক্রয় মুল্য দাঁড়িয়েছে ৩শ” ৬৭ কোটি টাকা।

কেরু চিনিকল আখচাষী কল্যান সমিতির সভাপতি আঃ হাননান ও সাধারন সম্পাদক আঃ বারি জানান অল্প সময়ে হাইব্রিড জাতের আখ উৎপাদন ও আখচাষ বৃদ্ধি করতে পারলে কেরুর বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যেতে পারে। পাশাপাসি চিনি ও আখের মুল্য বাড়াতে হবে, এবং আখের সাথে সাথী ফসল করা বাধ্যতা মুলক করতে হবে বলে তারা জানান।

 

কেরু চিনিকলের ব্যাস্থ্পনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান কেরু প্রতিস্টার পর এই প্রথম সর্বচ্চ কেরুর উৎপাদিত পন্য ৩শ ৬৭ কোটি টাকা বিক্রয় হয়েছে, যা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব দিয়ে, ৯টি কৃষি খামার ও চিনির লোকসান সমন্বয় করে ১শ” কোটি টাকা নিট প্রফিট হতে পারে। ২০২১ সালে নিট প্রফিট ছিল ৫০ কোটি ৭০ লাখ ও মহামারি করনার মধ্যে ২০২০ সালে নিট প্রফিট ছিল ২১কোটি টাকা।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানীর ১” শ” কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন

আপডেটঃ ০৯:২০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

দেশের দক্ষিণান্চলের একমাত্র অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানী শুধুমাত্র আখ থেকে চিনি, চিটাগুড়, বায়োফার্টিলাইজার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও উন্নত মানের দেশী-বিদেশী স্প্রিরিট লিকার উৎপাদন এবং বাজারজাত করে ১”শ” কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন। হাইব্রিড জাতের আখ উৎপাদন ও আখচাষ বাড়ানো গেলে কেরু কোম্পানীর সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে বলে এলাকার আখচাষীরা জানালেন।

 

কেরু চিনিকল সুত্রে জানা গেছে ৩ হাজার ৫শ ৭২ একর নিজস্ব জমি নিয়ে ১৯৩৮ সালে দর্শনায় কেরু এন্ড কোম্পানী নামে একটি কমপ্লেক্স স্থাপিত হয়। কেরুর নিজস্ব ২হাজার ৪শ৫০ একর ও এলাকার আখচাষীদের আড়াই হাজার একর জমিতে আখচাষ শুরু করা হয়। আখ থেকে চিনি বের করে নেয়ার পর মোলাসেচ বা চিটাগুড়,ব্যাকাজ বা ছোবড়া ও প্রেসমাড বা গাদ নামে আরো ৩টি উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়। দ্রব্য গুলো প্রক্রিয়া করে কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার,রেক্টিফাইট স্প্রিরিট, এক্সটা নিউট্রা এলকোহল, ডিনেচার্ড স্প্রিরিট, এবসুলিট এলকোহল তৈরি হয়। যা থেকে দেশী স্প্রিরিট ও ৯টি ব্রান্ডের বিদেশী ফরেন লিকার উৎপাদন করা হয়।

 

 

১৮০, ৩৭৫ ও ৭৫০ এম এল এর বোতলজাত করে বছরে ৩৯ লাখ ২০ হাজার বোতল ফরেন লিকার ও ২৬ লাখ লিটার কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার উৎপাদন করা হয়। দেশে কেরুর উৎপাদিত পন্য বিক্রি করার জন্য নিজস্ব ১৩টি ওয়্যার হাউজ ও ৩টি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চলতি বছরে কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে দুটি নতুন বিক্রয় কেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে, এবং রামু ও রাজশাহীতে দুটি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে কেরুর জি এম (প্রশাসন) জানিয়েছেন।

 

২০২২ সালে এ সব কেন্দ্রে কেরুর উৎপাদিত পন্য চিনি, বায়োফার্টিলাইজার,হ্যান্ড স্যানিটাইজার, কান্ট্রি স্প্রিরিট লিকার ও ফরেন লিকার স্প্রিরিট বাজারজাত ও বিক্রয় মুল্য দাঁড়িয়েছে ৩শ” ৬৭ কোটি টাকা।

কেরু চিনিকল আখচাষী কল্যান সমিতির সভাপতি আঃ হাননান ও সাধারন সম্পাদক আঃ বারি জানান অল্প সময়ে হাইব্রিড জাতের আখ উৎপাদন ও আখচাষ বৃদ্ধি করতে পারলে কেরুর বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যেতে পারে। পাশাপাসি চিনি ও আখের মুল্য বাড়াতে হবে, এবং আখের সাথে সাথী ফসল করা বাধ্যতা মুলক করতে হবে বলে তারা জানান।

 

কেরু চিনিকলের ব্যাস্থ্পনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান কেরু প্রতিস্টার পর এই প্রথম সর্বচ্চ কেরুর উৎপাদিত পন্য ৩শ ৬৭ কোটি টাকা বিক্রয় হয়েছে, যা সরকারি কোষাগারে রাজস্ব দিয়ে, ৯টি কৃষি খামার ও চিনির লোকসান সমন্বয় করে ১শ” কোটি টাকা নিট প্রফিট হতে পারে। ২০২১ সালে নিট প্রফিট ছিল ৫০ কোটি ৭০ লাখ ও মহামারি করনার মধ্যে ২০২০ সালে নিট প্রফিট ছিল ২১কোটি টাকা।