চুয়াডাঙ্গা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান কত বসন্ত পার করলেন?

২২ মে জীবনের তেইশটি বছর পার করলেন শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান। তার জন্মদিনের আমেজে খুশিতে ভাসছে বলিপাড়া। শাহরুখ এবং গৌরী খানের তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা সুহানা যেমন পেয়েছেন পিতার আদল, তেমনই পেশার দিক থেকেও পিতার পদাঙ্কই অনুসরণ করেছেন তিনি। খুব শীঘ্রই বলিউডে মুক্তি পাবে সুহানা অভিনীত প্রথম ছবি, ‘দ্য আর্চিজ’।

 

বিলাসব্যসনের মধ্যে বড় হলেও তারকাসন্তানদের নানাবিধ অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর পাঁচ জন শিশুর মতো স্বাভাবিক ভাবে সর্বত্র ঘোরাফেরা করতে পারে না তারা। স্কুলে যাওয়ার সময় খারাপ লাগত সুহানারও। শাহরুখ তার কন্যাকে গাড়ি থেকে নামানোর সময় এক বার যদি জড়িয়ে ধরতে চাইতেন, ছিটকে সরে যেতেন সুহানা। কারণ, সবাই দেখছে! সবার মাথার মধ্যে ঘুরছে, ওই যে শাহরুখ খান এসেছেন মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে! সুহানার দাবি ছিল, কখনও কেউ বলত না “সুহানার বাবা এসেছে।” যে পরিচয়ে আর পাঁচ জনের মতো নিজের বাবাকে স্বাভাবিক ভাবে উপস্থাপন করতে চাইতেন ছোট্ট সুহানা।

 

 

তবে খুব বেশি দিন সময় লাগে না পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ-কন্যা বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়েছিলাম যে, কিছু ব্যাপার আমাদের ক্ষেত্রে আলাদা। আগে কখনও ভাবিনি আমার বাবা কতটা বিখ্যাত মানুষ, যখন আমার ৫ বছর বয়স বাবা স্কুলে ছাড়তে আসত। আমি চাইতাম সবাই তাকে সুহানার বাবা বলে চিনুক। যেটা কখনওই হত না। সবাই হাঁ করে তাকিয়ে থাকত বাবা এলেই। নামানোর সময়ে বাবা জড়িয়ে ধরতে গেলেই আমি ঠেলে দিতাম তাকে। গাড়িতেই থাকতে বলতাম। অহেতুক লোকের কৌতূহল বাড়ানো আমার ভাল লাগত না।

suhana

তারকার সন্তান হয়ে বেড়ে ওঠার নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন সুহানা। জানান, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের সঙ্গেও বোঝাপড়ায় আসেন। শেষে সুহানাই এক দিন উপলব্ধি করেন, শাহরুখ খান নন, সবার আগে তিনি সুহানার বাবা! সুহানার কথায়, স্কুলে ছাড়তে আসার সময় আমার বাবাকে সবার সামনেই জড়িয়ে ধরা উচিত ছিল, কারণ আমারই তো বাবা!

 

 

সম্প্রতি এক প্রসাধনী সংস্থার মুখ হয়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেখা দিয়েছেন সুহানা।তরতরিয়ে এগোচ্ছে তার কেরিয়ার, যা নিয়ে গর্বিত পিতা শাহরুখও। কন্যাকে শুভেচ্ছায়, আদরে ভরিয়ে দেন তিনি। সুহানাও তাকে প্রকাশ্যেই ভালবাসা জানান। বাবা-মেয়ের সম্পর্ক যে এখন কতটা সহজ, তা তাদের একত্র উপস্থিতি বা সমাজমাধ্যমে কথোপকথনেই স্পষ্ট হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান কত বসন্ত পার করলেন?

প্রকাশ : ০৭:৫৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

২২ মে জীবনের তেইশটি বছর পার করলেন শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান। তার জন্মদিনের আমেজে খুশিতে ভাসছে বলিপাড়া। শাহরুখ এবং গৌরী খানের তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা সুহানা যেমন পেয়েছেন পিতার আদল, তেমনই পেশার দিক থেকেও পিতার পদাঙ্কই অনুসরণ করেছেন তিনি। খুব শীঘ্রই বলিউডে মুক্তি পাবে সুহানা অভিনীত প্রথম ছবি, ‘দ্য আর্চিজ’।

 

বিলাসব্যসনের মধ্যে বড় হলেও তারকাসন্তানদের নানাবিধ অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর পাঁচ জন শিশুর মতো স্বাভাবিক ভাবে সর্বত্র ঘোরাফেরা করতে পারে না তারা। স্কুলে যাওয়ার সময় খারাপ লাগত সুহানারও। শাহরুখ তার কন্যাকে গাড়ি থেকে নামানোর সময় এক বার যদি জড়িয়ে ধরতে চাইতেন, ছিটকে সরে যেতেন সুহানা। কারণ, সবাই দেখছে! সবার মাথার মধ্যে ঘুরছে, ওই যে শাহরুখ খান এসেছেন মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে! সুহানার দাবি ছিল, কখনও কেউ বলত না “সুহানার বাবা এসেছে।” যে পরিচয়ে আর পাঁচ জনের মতো নিজের বাবাকে স্বাভাবিক ভাবে উপস্থাপন করতে চাইতেন ছোট্ট সুহানা।

 

 

তবে খুব বেশি দিন সময় লাগে না পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ-কন্যা বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়েছিলাম যে, কিছু ব্যাপার আমাদের ক্ষেত্রে আলাদা। আগে কখনও ভাবিনি আমার বাবা কতটা বিখ্যাত মানুষ, যখন আমার ৫ বছর বয়স বাবা স্কুলে ছাড়তে আসত। আমি চাইতাম সবাই তাকে সুহানার বাবা বলে চিনুক। যেটা কখনওই হত না। সবাই হাঁ করে তাকিয়ে থাকত বাবা এলেই। নামানোর সময়ে বাবা জড়িয়ে ধরতে গেলেই আমি ঠেলে দিতাম তাকে। গাড়িতেই থাকতে বলতাম। অহেতুক লোকের কৌতূহল বাড়ানো আমার ভাল লাগত না।

suhana

তারকার সন্তান হয়ে বেড়ে ওঠার নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন সুহানা। জানান, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের সঙ্গেও বোঝাপড়ায় আসেন। শেষে সুহানাই এক দিন উপলব্ধি করেন, শাহরুখ খান নন, সবার আগে তিনি সুহানার বাবা! সুহানার কথায়, স্কুলে ছাড়তে আসার সময় আমার বাবাকে সবার সামনেই জড়িয়ে ধরা উচিত ছিল, কারণ আমারই তো বাবা!

 

 

সম্প্রতি এক প্রসাধনী সংস্থার মুখ হয়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেখা দিয়েছেন সুহানা।তরতরিয়ে এগোচ্ছে তার কেরিয়ার, যা নিয়ে গর্বিত পিতা শাহরুখও। কন্যাকে শুভেচ্ছায়, আদরে ভরিয়ে দেন তিনি। সুহানাও তাকে প্রকাশ্যেই ভালবাসা জানান। বাবা-মেয়ের সম্পর্ক যে এখন কতটা সহজ, তা তাদের একত্র উপস্থিতি বা সমাজমাধ্যমে কথোপকথনেই স্পষ্ট হয়।