চুয়াডাঙ্গা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এইচএমপিভি : বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ দশম শ্রেণির ৮০ জন ছাত্রীর শার্ট খুলতে বাধ্য করলেন প্রিন্সিপাল! পড়শীর স্বামীর পরিচয় জানা গেল এজেন্সি কোটা এক‌ হাজার বহাল, ২০২৫ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত এইচএমপিভি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা দামুড়হুদায় কৃষক পর্যায়ে অবহিতকরণ, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত কারাগারে খালেদা জিয়াকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে

অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা


ঢালিউড নায়িকা অপু বিশ্বাস ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ২৪ অক্টোবর এ মামলা করেন তিনি। হিরো আলমের সঙ্গে এই মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে জাহিদুল ইসলামকে।

প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত পুরো ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও থানা কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সিমি ইসলাম জানান, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আপন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন মিলে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন।

এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি, যেখানে অভিযুক্ত করা হয় অপু ও আপনকে। বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা।

কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই। বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি। মামলা প্রসঙ্গে সিমি ইসলাম বলেন, ‘এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিন ধরেই আমি অপুর কাছে গিয়েছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। তিনিও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাও তিনি রাখেননি। এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলেন, তিনি বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। তার কথায় আমি রাজি হলে তিনি অপুর সঙ্গে কথা বলবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে।

এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই।’ সিমি ইসলাম জানান দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অপরাধী বাদশা’। এরপর তিনি একে একে প্রযোজনা করেন ‘মাই নেম ইজ সিমি’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’ এবং ‘নারী শক্তি’ ছবিগুলো। বর্তমানে তার প্রযোজিত আরও দুটি ছবির কাজ চলছে। এসব ছবি হচ্ছে ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ এবং ‘ভুল মানুষ’।





Source link

প্রসংঙ্গ :
avashnews

এইচএমপিভি : বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা

avashnews

Powered by WooCommerce

অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটঃ ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪


ঢালিউড নায়িকা অপু বিশ্বাস ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ২৪ অক্টোবর এ মামলা করেন তিনি। হিরো আলমের সঙ্গে এই মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে জাহিদুল ইসলামকে।

প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত পুরো ঘটনাটির তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন তেজগাঁও থানা কর্তৃপক্ষকে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সিমি ইসলাম জানান, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আপন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন মিলে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন।

এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি, যেখানে অভিযুক্ত করা হয় অপু ও আপনকে। বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা।

কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই। বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি। মামলা প্রসঙ্গে সিমি ইসলাম বলেন, ‘এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিন ধরেই আমি অপুর কাছে গিয়েছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। তিনিও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাও তিনি রাখেননি। এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলেন, তিনি বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। তার কথায় আমি রাজি হলে তিনি অপুর সঙ্গে কথা বলবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে।

এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই।’ সিমি ইসলাম জানান দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত আছেন। তার প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অপরাধী বাদশা’। এরপর তিনি একে একে প্রযোজনা করেন ‘মাই নেম ইজ সিমি’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’ এবং ‘নারী শক্তি’ ছবিগুলো। বর্তমানে তার প্রযোজিত আরও দুটি ছবির কাজ চলছে। এসব ছবি হচ্ছে ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ এবং ‘ভুল মানুষ’।





Source link