দামুড়হুদার ডুগডুগি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি। রবিবার বেলা ড়েটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি বাজারের পাকা রাস্তার ওপর থেকে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয়েছে রুহুল আমিন নামে এক চোরাকারবারিকে। আটক রুহুল আমিন (২১) দর্শনা পৌরসভাধীন আজমপুর-শ্যামপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রবিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত দর্শনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে মর্মে প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় র্শনা বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক জিয়াউর রহমান, পিবিজিএম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি বাজার পাঁকা রাস্তার পাশে অ্যাম্বুশ করেন। আনুমানিক বেলা দেড়টার দিকে বিজিবি টহলদল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে অতিক্রম করতে দেখে তার গতিরোধ করে।
বিজিবি দেখে দর্শনা পৌরসভাধীন আজমপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে চোরাকারবারি রুহুল আমিন নামের ওই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে টহল দল তাকে ধাওয়া করে আটক করে। বিজিবি সশস্ত্র টহল দল তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবারে এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি তল্লাশি করে হেড নাটের কভারের মধ্যে কালো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় আনুমানিক ১ কেজি ১৭৮ গ্রাম ওজনের ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। পরবর্তীতে বিজিবি সশস্ত্র টহলদলের সদস্যরা তার হেফাজতে থাকা একটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল জব্দ করতে সক্ষম হন।
এ ব্যাপারে নায়েক জিয়াউর রহমান আটককৃত আসামি রুহুল আমিনকে দর্শনা থানায় হস্তান্তর পূর্বক মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনস্থ নাজিরাকোনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ১০৮/১-এস হতে আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় মেহেরপুরের সোনাপুর মাঠের মধ্যে হাবিলদার মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৮ পিস ভারতীয় জামদানী শাড়ী আটক করতে সক্ষম হন।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনস্থ মুজিবনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ১০৮/৩-এস হতে আনুমানিক ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাজিরাকোনা মাঠের মধ্যে হাবিলদার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৬ পিস ভারতীয় শাড়ী, ১৫ পিস থ্রি-পিছ এবং ২৯ পিস শাল চাদর আটক করতে সক্ষম হন।