চুয়াডাঙ্গা ০৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে পৃথক ঘটনায় ২ যুবক খুন

যশোরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। দু’জনকেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পৃথক দু’স্থানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন, সদর উপজেলার নওয়াপড়া ইউনিয়নের তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের নাহিদ হোসেন (১৭) ও ঘুরুরিয়া গ্রামের সাদ্দামের মোড়ের আব্দুল লতিফের ছেলে ইউনুস আলী (২২)। 

 

নিহত নাহিদের বড় ভাই বোরহান জানান, তারা দু’ভাই শহরের আরএন রোডের একটি পার্টসের দোকানে কাজ করেন। নাহিদ প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার বন্ধুদের সাথে বারান্দি নাথপাড়া জামে মসজিদে ইফতার ও রাতে তারাবির নামাজ আদায় করতো। শুক্রবার তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদের সামনে গেলে অজ্ঞাত পরিচয়ের চার-পাঁচ দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সালাহউদ্দীন বাবু রাত সাড়ে ৯ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ওপর হামলার সঠিক কারণ জানতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।

 

অপরদিকে, নিহত ইউনুস আলীর স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানান, তার দেবর ইউসুফ গ্রামের একটি মেয়েকে উক্ত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনায় ওই মেয়ের পিতা তাদের দু’ভাই ইউনুস ও ইউসুফের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে তাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় ইউনুস ইফতার করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন ছোট ভাই ইউসুফ তাকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সালাহউদ্দীন বাবু মৃত ঘোষণা করেন।

 

ডাক্তার সালাহউদ্দীন বাবু জানান, হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত হয়েছে।

 

কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, দু’টি ঘটনাস্থল তিনি পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

যশোরে পৃথক ঘটনায় ২ যুবক খুন

আপডেটঃ ০৮:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

যশোরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। দু’জনকেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। পৃথক দু’স্থানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন, সদর উপজেলার নওয়াপড়া ইউনিয়নের তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের নাহিদ হোসেন (১৭) ও ঘুরুরিয়া গ্রামের সাদ্দামের মোড়ের আব্দুল লতিফের ছেলে ইউনুস আলী (২২)। 

 

নিহত নাহিদের বড় ভাই বোরহান জানান, তারা দু’ভাই শহরের আরএন রোডের একটি পার্টসের দোকানে কাজ করেন। নাহিদ প্রতিদিন সন্ধ্যায় তার বন্ধুদের সাথে বারান্দি নাথপাড়া জামে মসজিদে ইফতার ও রাতে তারাবির নামাজ আদায় করতো। শুক্রবার তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদের সামনে গেলে অজ্ঞাত পরিচয়ের চার-পাঁচ দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সালাহউদ্দীন বাবু রাত সাড়ে ৯ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ওপর হামলার সঠিক কারণ জানতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।

 

অপরদিকে, নিহত ইউনুস আলীর স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানান, তার দেবর ইউসুফ গ্রামের একটি মেয়েকে উক্ত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনায় ওই মেয়ের পিতা তাদের দু’ভাই ইউনুস ও ইউসুফের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে তাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় ইউনুস ইফতার করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন ছোট ভাই ইউসুফ তাকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সালাহউদ্দীন বাবু মৃত ঘোষণা করেন।

 

ডাক্তার সালাহউদ্দীন বাবু জানান, হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত হয়েছে।

 

কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, দু’টি ঘটনাস্থল তিনি পরিদর্শন করেছেন। জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।