চুয়াডাঙ্গা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে বৃষ্টিবহুল মে, সঙ্গে ঝড়-শিলাবৃষ্টি

দুই দিনের বিরতি বাদ দিলে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চলতি মাসের মোট ২৪ দিন দেশবাসীকে দাবদাহের মধ্যে কাটাতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। গতকাল শুক্রবারও দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার ও আগামী দু–এক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। মূলত দিনে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রোদ থাকবে, বিকেলে কোথাও কোথাও কালবৈশাখী হতে পারে।

 

তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দু–এক দিন বৃষ্টি কম হলেও মে মাসের শুরু থেকে বৃষ্টির প্রবণতা আবার বাড়তে পারে। সাধারণভাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে তাপমাত্রা কমে। বৃষ্টিও বাড়ে। সেই ধারায় এবারও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে।

 

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গতকাল  বলেন, গত দুই দিন বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকা থেকে তাপপ্রবাহ আপাতত বিদায় নিয়েছে। আজ শনিবার ও আগামী দু–এক দিন কোথাও কোথাও বৃষ্টি ঝরলেও তার পরিমাণ কম হতে পারে। তবে মে মাসের শুরু থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে আগের চেয়ে বৃষ্টিপাতের এলাকা কমেছে। যদিও কয়েকটি এলাকায় অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়, ৮১ মিলিমিটার। এ ছাড়া মাদারীপুরে ৪২ মিলিমিটার ও ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বিকেলের পর দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীও বয়ে গেছে। মোংলায় ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার গতিতে কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে। এর বাইরে সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ মোট সাত জেলায় কালবৈশাখী বয়ে গেছে। আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে ২ এপ্রিল থেকে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তা টানা ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। পরে ২২ ও ২৩ এপ্রিলে আবার বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমে। এর পর আবারও গত ২৪ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। গতকাল ২৮ এপ্রিল তা আবার বিদায় নেয়। আজ আগের মতো দেশব্যাপী তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকতে পারে।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

আসছে বৃষ্টিবহুল মে, সঙ্গে ঝড়-শিলাবৃষ্টি

আপডেটঃ ০৭:৩৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

দুই দিনের বিরতি বাদ দিলে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চলতি মাসের মোট ২৪ দিন দেশবাসীকে দাবদাহের মধ্যে কাটাতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। গতকাল শুক্রবারও দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবার ও আগামী দু–এক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। মূলত দিনে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রোদ থাকবে, বিকেলে কোথাও কোথাও কালবৈশাখী হতে পারে।

 

তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দু–এক দিন বৃষ্টি কম হলেও মে মাসের শুরু থেকে বৃষ্টির প্রবণতা আবার বাড়তে পারে। সাধারণভাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে তাপমাত্রা কমে। বৃষ্টিও বাড়ে। সেই ধারায় এবারও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিরও আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়তে পারে।

 

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গতকাল  বলেন, গত দুই দিন বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দেশের বেশির ভাগ এলাকা থেকে তাপপ্রবাহ আপাতত বিদায় নিয়েছে। আজ শনিবার ও আগামী দু–এক দিন কোথাও কোথাও বৃষ্টি ঝরলেও তার পরিমাণ কম হতে পারে। তবে মে মাসের শুরু থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে আগের চেয়ে বৃষ্টিপাতের এলাকা কমেছে। যদিও কয়েকটি এলাকায় অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে মোংলায়, ৮১ মিলিমিটার। এ ছাড়া মাদারীপুরে ৪২ মিলিমিটার ও ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বিকেলের পর দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীও বয়ে গেছে। মোংলায় ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার গতিতে কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে। এর বাইরে সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ মোট সাত জেলায় কালবৈশাখী বয়ে গেছে। আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে ২ এপ্রিল থেকে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। তা টানা ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। পরে ২২ ও ২৩ এপ্রিলে আবার বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমে। এর পর আবারও গত ২৪ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। গতকাল ২৮ এপ্রিল তা আবার বিদায় নেয়। আজ আগের মতো দেশব্যাপী তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকতে পারে।