চুয়াডাঙ্গা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সহকারী হাইকমিশন তছনছ, পতাকায় আগুন

ভারতকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সতর্কবার্তা

ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ভবনে হামলা চালিয়ে তছনছ এবং বাংলাদেশের পতকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে  ওই ঘটনার নিন্দা জানান।

 

পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, আজকে (সোমবার) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি’ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমনাত্নক প্রচারণায় মেতে উঠতো ভারত?)

 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকিমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।

 

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর মোতায়েন চেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।

 

মমতার এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের ওপর, এর জন্য বরং উল্টো ভারতের এবং মমতার লজ্জিত হওয়া উচিত।

 

বাংলাদেশ সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে  ভারত-তোষণ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।

সিুত্র লিংক

Powered by WooCommerce

সহকারী হাইকমিশন তছনছ, পতাকায় আগুন

ভারতকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সতর্কবার্তা

আপডেটঃ ১০:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন ভবনে হামলা চালিয়ে তছনছ এবং বাংলাদেশের পতকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে  ওই ঘটনার নিন্দা জানান।

 

পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, আজকে (সোমবার) ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি’ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমনাত্নক প্রচারণায় মেতে উঠতো ভারত?)

 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকিমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।

 

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর মোতায়েন চেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।

 

মমতার এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের ওপর, এর জন্য বরং উল্টো ভারতের এবং মমতার লজ্জিত হওয়া উচিত।

 

বাংলাদেশ সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে  ভারত-তোষণ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।

সিুত্র লিংক