চুয়াডাঙ্গা ০৩:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৭৩ আসামিসহ এখনও পলাতক ৭০০ নিজ হাতেই ক্যারিয়ার ধ্বংস করলেন অভিনেত্রী আলমডাঙ্গায় পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী গ্রেফতার ভারতীয় পতাকা ‘প্রণাম করে’ চিকিৎসা নিতে হবে বাংলাদেশিদের নাগরিকদের নিরাপত্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র খালেদা জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ রাফিনিয়ার জোড়া গোলে মায়োর্কাকে উড়িয়ে জয়ে ফিরল বার্সা ভালুকার মাদক সম্রাট রায়হান, আকিব ও ফাহিম গ্রেফতার অভিষেকের সঙ্গে কাটানো গোপন মুহূর্ত ফাঁস করলেন নিমরত!

আজ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন

 

প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলেই ভারি বুক হালকা হয়, কিংবা মনটা একটু বেশিই চনমনে হয়ে ওঠে.. এ কথা অস্বীকার সুযোগ নেই। জড়িয়ে ধরা কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং সংযোগের প্রতীক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আলিঙ্গন মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে, সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে এবং সুখ বাড়াতে সহায়তা করে।

 

প্রিয়জনকে কম-বেশি সবাই-ই জড়িয়ে ধরি। এই জড়িয়ে ধরাটা বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।

 

আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন বা ‘লেটস হাগ ডে’। এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয়, সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

যতদূর জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন।

দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা; যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।

 

জানলে অবাক হবেন, আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট একাডেমিক পাবলিশিং কোম্পানি প্রকাশিত সেজ জার্নালস চার শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষকেরা সেখানে দেখেন, আলিঙ্গন কোনো ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করতে পারে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আলিঙ্গন পেয়েছেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম ছিল।

 

হয়তো আদিকাল থেকেই মানুষের মধ্যে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের আনন্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কতটা মধুর। যেভাবেই দিবসটির শুরু হোক না কেন, আজও এটি বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিদ্যমান।

 

মজার বিষয় হলো, জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন একটি সর্বজনীন ভালোবাসার প্রকাশ। যখন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অভিবাদনের ধরন পরিবর্তিত হয়, যেমন—করমর্দন, নমস্কার বা হাই-ফাইভ, তখন আলিঙ্গন প্রায় সব সংস্কৃতিতেই ভালোবাসা ও সংযোগ প্রকাশের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। মানুষের সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলিঙ্গন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশুরা ছোটবেলায় আলিঙ্গন বা স্নেহলাভ পায় না, তারা সাধারণত সুস্থ এবং ভালোবাসা-ঘেরা শিশুদের মতো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না।

 

তবে কেবল শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও আলিঙ্গনের সুফল পেতে পারে। আসলে, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে আলিঙ্গন কেবল মানসিক ও আবেগগত দিক থেকেই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও উপকারী।

তাই লজ্জা নয়, প্রস্তুত হন এবং ‘জড়িয়ে ধরা দিবস’-এ কাউকে জড়িয়ে ধরুন!

সূত্র্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার

Source link

প্রসঙ্গঃ

মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Powered by WooCommerce

আজ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন

প্রকাশ : ১২:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলেই ভারি বুক হালকা হয়, কিংবা মনটা একটু বেশিই চনমনে হয়ে ওঠে.. এ কথা অস্বীকার সুযোগ নেই। জড়িয়ে ধরা কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং সংযোগের প্রতীক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আলিঙ্গন মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে, সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে এবং সুখ বাড়াতে সহায়তা করে।

 

প্রিয়জনকে কম-বেশি সবাই-ই জড়িয়ে ধরি। এই জড়িয়ে ধরাটা বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।

 

আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন বা ‘লেটস হাগ ডে’। এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয়, সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

যতদূর জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন।

দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা; যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।

 

জানলে অবাক হবেন, আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট একাডেমিক পাবলিশিং কোম্পানি প্রকাশিত সেজ জার্নালস চার শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষকেরা সেখানে দেখেন, আলিঙ্গন কোনো ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করতে পারে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আলিঙ্গন পেয়েছেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম ছিল।

 

হয়তো আদিকাল থেকেই মানুষের মধ্যে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের আনন্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কতটা মধুর। যেভাবেই দিবসটির শুরু হোক না কেন, আজও এটি বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিদ্যমান।

 

মজার বিষয় হলো, জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন একটি সর্বজনীন ভালোবাসার প্রকাশ। যখন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অভিবাদনের ধরন পরিবর্তিত হয়, যেমন—করমর্দন, নমস্কার বা হাই-ফাইভ, তখন আলিঙ্গন প্রায় সব সংস্কৃতিতেই ভালোবাসা ও সংযোগ প্রকাশের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। মানুষের সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলিঙ্গন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশুরা ছোটবেলায় আলিঙ্গন বা স্নেহলাভ পায় না, তারা সাধারণত সুস্থ এবং ভালোবাসা-ঘেরা শিশুদের মতো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না।

 

তবে কেবল শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও আলিঙ্গনের সুফল পেতে পারে। আসলে, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে আলিঙ্গন কেবল মানসিক ও আবেগগত দিক থেকেই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও উপকারী।

তাই লজ্জা নয়, প্রস্তুত হন এবং ‘জড়িয়ে ধরা দিবস’-এ কাউকে জড়িয়ে ধরুন!

সূত্র্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার

Source link