দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য নিদ্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, অবসাদ কাজ করে। দীর্ঘদিন অনিদ্রা বা ঘুম না হলে নানা রোগব্যাধি বাসা বাধে শরীরে।
অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা এখন অনেক সময় ব্যয় করি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ইন্টারনেটে। এর একটা প্রভাব পড়ে মনোজগতে। এর ফল হিসাবে সময়মতো ঘুম না আসার মতো সমস্যাগুলো বেশি দেখা যাচ্ছে।
এ সাধারণ সমস্যার সমাধানে হয়েছে অনেক গবেষণাও। এ থেকে মুক্তি পেতে জানুন বিশেষজ্ঞদের কিছু টিপস—
১. রাতে ঠিকমতো ঘুম না আসার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে— ঘুমাতে যাওয়ার আগে চা, কফি বা নিকোটিন জাতীয় কিছু সেবন করা। সারাদিন কাজের শেষে যদি মনে করেন যে, এগুলো পান করে কিছুটা রিল্যাক্স হবেন, তা হলে আপনি ভুল ভাবছেন। বরং সেটিই হতে পারে আপনার রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণ।
২. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চাইলে তুলনামূলক ঠাণ্ডা স্থান নির্বাচন করুন। ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস প্রবেশ না করলে সেখানে ঘুমের সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। ঘুমানোর সময় ঘর গরম থাকলে এবং বিশেষ করে বালিশ ও বিছানা গরম থাকলে সেটি ঘুমের জন্য উপযুক্ত স্থান নয়। তাই ঘুমানোর জন্য ঠাণ্ডা ঘর এবং শোবার জায়গা ঠাণ্ডা নির্বাচন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৩. রাতে ঘুমের সমস্যা হলে ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। অনেকে মনে করেন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে সেটি শরীরকে ঠাণ্ডা করে এবং ঘুম আসতে সাহায্য করে। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে তা শরীরকে ঠাণ্ডা করে কিন্তু সেটি অল্প সময়ের জন্য। আর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে সেটি শরীরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠাণ্ডা করতে পারে।
৪. ভালো ঘুমের জন্য দিনে অন্তত ১৫ মিনিট হলেও হালকা ব্যয়াম করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের শুরুতে হালকা ব্যয়াম করলে সেটি শরীরকে চনমনে ও সক্রিয় করে তোলে। এটি রাতে ঠিকমতো ঘুম আনতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া দুপুরে ঘুমানো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এটি রাতের ঘুমকে নষ্ট করে দিতে পারে।
৫. প্রতিদিন অনন্ত ৩০ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে দিন ও রাতের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে। আপনার মস্তিষ্ক দিন আর রাতের পার্থক্য ঠিকমতো বুঝলে রাতে নিজে থেকেই ঘুম আসে।