চুয়াডাঙ্গা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইফতারে পানিশূন্যতা রোধে স্যালাইন খাওয়া কি উচিৎ?

পবিত্র মাহে রমজানে সাওম পালনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকেন রোজাদাররা। তাই এসময় যে কারোরই পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বয়স্ক, শিশু, ডায়াবেটিস রোগী এবং কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবার যারা কায়িক শ্রম করেন যেমন— রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক ইত্যাদি, তাদেরও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই ইফতারে তারা স্যালাইন খেয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার পর স্যালাইন পান করা কি ঠিক?

 

রমজানে পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা যায় যেমন— শরীর দুর্বল হয়ে পড়া, মুখ ও ত্বক অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, কোষ্ঠকাঠিন্য, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি অপরিহার্য।

 

ইফতারে স্যালাইন পান করা কি ঠিক?

 

ইফতারের সময় একসঙ্গে অনেক বেশি পানি ও স্যালাইন পান করেন অনেকে। পানিশূন্যতা দূর করতে স্যালাইন দিয়েই ইফতার করেন অনেকে। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ, খালি পেটে স্যালাইন খেলে বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে। এক্ষেত্রে ইফতারের পরে অর্থাৎ ভরাপেটের এক গ্লাস স্যালাইন খেতে পারেন।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও স্যালাইন খাবেন না। কারণ, এতে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।

 

অতিরিক্ত স্যালাইন পান করা ঠিক নয়

সাধারণত শরীর ঘামলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই একটু ঘামলে বা ক্লান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন পান করেন। দিনে দুই থেকে তিনটি স্যালাইনও পান করে থাকেন অনেকে।

স্যালাইন পান করার ফলে রক্তে যে লবণের ক্রিয়া হয় তা সব ধরনের শরীরের জন্য উপকারী নয়। যদি কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই স্যালাইন পান করেন তাতে সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।

 

স্যালাইনের উপাদানে সোডিয়াম ক্লোরাইড উপস্থিত থাকার কারণে রক্তে ইলেকটোলাইট ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারেনা। তাই অকারণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্যালাইন পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্যালাইন পান করার আগে অবশ্যই সঠিক পরিমাপ জানতে হবে। এছাড়াও দিনে এক প্যাকেটের বেশি স্যালাইন খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

সূত্র: ইন্টারনেট

Powered by WooCommerce

ইফতারে পানিশূন্যতা রোধে স্যালাইন খাওয়া কি উচিৎ?

আপডেটঃ ১০:৪৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

পবিত্র মাহে রমজানে সাওম পালনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকেন রোজাদাররা। তাই এসময় যে কারোরই পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বয়স্ক, শিশু, ডায়াবেটিস রোগী এবং কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। আবার যারা কায়িক শ্রম করেন যেমন— রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক ইত্যাদি, তাদেরও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই ইফতারে তারা স্যালাইন খেয়ে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার পর স্যালাইন পান করা কি ঠিক?

 

রমজানে পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা যায় যেমন— শরীর দুর্বল হয়ে পড়া, মুখ ও ত্বক অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, কোষ্ঠকাঠিন্য, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি অপরিহার্য।

 

ইফতারে স্যালাইন পান করা কি ঠিক?

 

ইফতারের সময় একসঙ্গে অনেক বেশি পানি ও স্যালাইন পান করেন অনেকে। পানিশূন্যতা দূর করতে স্যালাইন দিয়েই ইফতার করেন অনেকে। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। কারণ, খালি পেটে স্যালাইন খেলে বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে। এক্ষেত্রে ইফতারের পরে অর্থাৎ ভরাপেটের এক গ্লাস স্যালাইন খেতে পারেন।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও স্যালাইন খাবেন না। কারণ, এতে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।

 

অতিরিক্ত স্যালাইন পান করা ঠিক নয়

সাধারণত শরীর ঘামলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই একটু ঘামলে বা ক্লান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন পান করেন। দিনে দুই থেকে তিনটি স্যালাইনও পান করে থাকেন অনেকে।

স্যালাইন পান করার ফলে রক্তে যে লবণের ক্রিয়া হয় তা সব ধরনের শরীরের জন্য উপকারী নয়। যদি কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই স্যালাইন পান করেন তাতে সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।

 

স্যালাইনের উপাদানে সোডিয়াম ক্লোরাইড উপস্থিত থাকার কারণে রক্তে ইলেকটোলাইট ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে, যার কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারেনা। তাই অকারণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্যালাইন পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্যালাইন পান করার আগে অবশ্যই সঠিক পরিমাপ জানতে হবে। এছাড়াও দিনে এক প্যাকেটের বেশি স্যালাইন খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

সূত্র: ইন্টারনেট