আমাদের শরীরে দু’ধরনের ব্যাকটিরিয়া থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া। আর এ ভালো ব্যাকটেরিয়াই হলো প্রোবায়োটিক। যা টক দইতে পাওয়া যায়। তাই পুষ্টির শেষ নেই টক দইতে।
টক দই খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোবায়োটিক। এ ভালো ব্যাকটেরিয়া শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ থাকে এটিতে। তাই নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত সবার।
দই খেতে প্রায় সবাই ভালোবাসেন। খুব রসিয়ে মুখে তোলেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই পছন্দের খাদ্যটি হল মিষ্টি দই। যদিও মিষ্টি দই খেলে তেমন একটা শরীরের লাভ হয় না। উল্টো ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। এতে থাকা চিনি ডায়াবেটিসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এমন কী ওজন বৃদ্ধি করে হু হু করে। তাই সচেতন থাকার চেষ্টায় আপনাকে খেতে হবে টক দই।
পছন্দ না হলেও টক দই উপকারী এক খাদ্য। এ খাবারটি নানাভাবে শরীরের উপকার করে। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার দিনের একবেলা টক দই খেতে বলেন। এই খাবারে রয়েছে ভরপুর খনিজ, ভিটামিন, প্রোবায়োটিক।
পেটের জন্য ভালো-
পেটের সমস্যায় এখন অনেকেই ভোগেন। গ্যাস, অম্বল, পেট খারাপ রোজকার রোজ লেগে থাকে। এ অসুখ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খেতে হবে দই। দইতে রয়েছে প্রোবায়োটিক। এগুলো ভালো ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়া হজমে সাহায্য করে থাকে।
ইমিউনিটি বাড়ায়-
শরীরে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করাটা আমাদের প্রতিটি মানুষের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। দইতে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর অন্ত্র সুস্থ থাকলে ইমিউনিটি দ্রুত গতিতে বাড়ে। তাই এ বিষয়টা মাথায় রেখেই রোজ টক দই খেতে হবে।
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে-
হাই ব্লাড প্রেশার তো এখন প্রায় সবার মধ্যে দেখা যায়। বাড়ির বয়সী মানুষ ও ছোটদেরও এ সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। এ অসুখ নিয়ন্ত্রণ না করলে শরীরে বড় রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে। কিডনি, চোখ, হার্টের ক্ষতি হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে টক দই। তাই এই খাবার নিয়মিত খাওয়ারের তালিকায় রাখতে হবে।
হাড়কে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এটা হল শরীরের কাঠামো। তাই হাড় শক্তপোক্ত থাকলে অনায়াসে বহু জটিলতা পার করে নেয়া যায়। মনে রাখতে হবে দইতে রয়েছে ক্যালশিয়াম। এই ক্যালশিয়াম কিন্তু অস্থির জন্য উপকারী।
চেষ্টা করুন বাড়িতে দই বানিয়ে নেয়ার। স্কিম মিল্ক বা ডবল টোনড দুধ কিনে আনুন। এই দুধে ফ্যাট থাকে না। ফলে কোলেস্টেরল বাড়া বা ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে কম। এই দুধের সাহায্যে ঘরেই দই পাতুন। প্রথমে খেতে গিয়ে একটু টক লাগতে পারে। তবে কিছুদিন খেলে অভ্যাস হয়ে যাবে। সূত্র: এই সময়।