চুয়াডাঙ্গা ১০:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলীকে (৪৮) যাবজ্জীবন ও ভাসুর মনাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও একবছর ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার বিকালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামি (নিহতের ভাসুর) মনার উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল্লেক আলী (পলাতক) ও মনা ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০ জুন আল্লেক আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুন ভোরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ হাফিজা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা আসমত আলী বাদী হয়ে নিহতের স্বামীসহ ৬ জন বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা করেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন এবং বাকি ৪ জনকে খালাস দেন।

 

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, স্ত্রীর হত্যার দায়ে স্বামীর ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ যাবজ্জীবন এবং ভাসুরের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

Powered by WooCommerce

ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

আপডেটঃ ০৭:৪২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলীকে (৪৮) যাবজ্জীবন ও ভাসুর মনাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও একবছর ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার বিকালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামি (নিহতের ভাসুর) মনার উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল্লেক আলী (পলাতক) ও মনা ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০ জুন আল্লেক আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুন ভোরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ হাফিজা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা আসমত আলী বাদী হয়ে নিহতের স্বামীসহ ৬ জন বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা করেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন এবং বাকি ৪ জনকে খালাস দেন।

 

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, স্ত্রীর হত্যার দায়ে স্বামীর ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ যাবজ্জীবন এবং ভাসুরের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।