যশোরের বেনাপোল রেলস্টেশনে কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। ঈদকে সামনে রেখে চোরাচালান রোধে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল রেলস্টেশনে অভিযান চালানো হয়।
টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে তারা জানতে পারে, ঈদকে সামনে রেখে চোরাকারবারিরা কোলকাতা- খুলনাগামী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চোরাচালানি পণ্য নিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ বোতল ভারতীয় মদ ও বিপুল পরিমাণ কাপড় ও কসমেটিক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। যার মূল্য ১৬ লাখেরও বেশি।
যাত্রীরা জানান, সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার কোলকাতা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি এখন চোরাকারবারিদের দখলে। এ দুই দিন ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রী অবৈধ পণ্য বহন করে থাকে। চোরাকারবারিরা এই রুটে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল সেবা, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এর আগে বিভিন্ন সময় কাস্টমস, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না চোরাকারবারিরা। একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, রেল যাত্রীসেবা বাড়াতে ও চোরাচালানিদের প্রতিরোধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। রেলস্টেশনে বহিরাগতদের রুখতে আরও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর রহমান জানান, বেনাপোল রেলস্টেশনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশি মদসহ বিপুল পরিমাণ কাপড় ও কসমেটিক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জব্দকৃত মালামাল বেনাপোল কাস্টমস গোডাউনে জমা করা হয়েছে।
অভিযানে বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহম্মেদ, জেলা টাস্কফোর্সের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা তামান্না হোরায়ারা, শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশন (ভূমি) ফারজানা ইসলাম, ৪৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মোজাহিদ, বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া, রেল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।