চুয়াডাঙ্গা ১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় ভৈরব নদীর বালু উত্তোলন:মোবাইল কোর্টে জব্দ বালুর উন্মুক্ত নিলাম স্থগিত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভৈরব নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছিলো কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলী খাবলির ছেলে জাব্বার খাবলী, হুদা পাড়ার নাজমুল হাসান গেগা ও কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার লাবু।বিষয়টি নিয়ে মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।

 

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস’র নেতৃত্বে বালি উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন জব্দ করে তা ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয় ও উত্তোলনকৃত বালি জব্দ করা হয়। গতকাল রোববার বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মো:আব্দুর রশিদ নিলাম পক্রিয়ার প্রধান হয়ে ১০টি প্লাস্টিক ড্রাম,২ টি ইউপিভিসি পাইপ,২ টি ফ্লাক্সিবেল পাইপ,২ টি ডিজেল স্টার্ট,২ টি চায়না শ্যালো মেশিন ও ৮৬৮৭.৬০ সিএফটি বালির নিলাম ডাকার পক্রিয়া শুরু হয়। নিলামে অংশ গ্রহনের পূর্বে ডাকে অংশগ্রহনকারীরা সহ স্থানীয় অনেকে নিলাম কমিটিকে অবহিত করে ভৈরবনদীতে জব্দকৃত ৩ টি স্তুপের বালির পরিমান আনুমানিক প্রায় ২ হাজার গাড়ি বলে অভিযোগ করেন।

 

অথচ সেখানে যে পরিমান বালি দেখানো হয়েছে তা মাত্র ৭০ গাড়ি। নিলামে সঠিক তথ্য গোপন করে ও বালির মাপ একেবারে কম দেখিয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা। নিলাম কমিটি সহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মানববন্ধন হবে এমন হট্টগোল শুরু হলে নিলাম কমিটি কিছুক্ষন সময় চেয়ে বিষয়টা জেনে তারপর নিলাম পক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের জোর দাবী বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতরা যাতে প্রকাশ্য নিলামে অংশ গ্রহন করতে না পারে ও বালির সঠিক মাপের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিলাম অনুষ্ঠিত হয় তার সুব্যাবস্থা করতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়াও প্রকাশ্য নিলামে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য বা সঠিক চিত্র তুলে ধরা না হলে এলাকায় মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা দেন এলাকাবাসী।

 

দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, মোবাইল কোর্টে জব্দ করা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু উন্মুক্ত নিলাম হবার কথা ছিলো। আমি পূর্বনির্ধারিত নিলামের স্থানে পৌঁছুলে স্থানীয়রা বালুর মজুদকৃতর স্থান ২টি না ৩টি বলে অভিযোগ উত্থাপিত করেন। যার কারণে নিলাম স্থগিত করা হয়েছে।

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন, জব্দকৃত বালুর স্টিমেট ঠিক না থাকায় কারণে নিলাম স্থগিত করা হয়েছে। স্টিমেট ঠিক করে আবার নিলাম ডাকা হবে।

প্রসংঙ্গ :

যেখানেই অন্যায়, সিন্ডিকেট আর চাঁদাবাজি দেখব উপড়ে ফেলব : সারজিস

avashnews

Powered by WooCommerce

দামুড়হুদায় ভৈরব নদীর বালু উত্তোলন:মোবাইল কোর্টে জব্দ বালুর উন্মুক্ত নিলাম স্থগিত

আপডেটঃ ০৯:৩৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভৈরব নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছিলো কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলী খাবলির ছেলে জাব্বার খাবলী, হুদা পাড়ার নাজমুল হাসান গেগা ও কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার লাবু।বিষয়টি নিয়ে মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।

 

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস’র নেতৃত্বে বালি উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন জব্দ করে তা ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয় ও উত্তোলনকৃত বালি জব্দ করা হয়। গতকাল রোববার বেলা ১২ টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মো:আব্দুর রশিদ নিলাম পক্রিয়ার প্রধান হয়ে ১০টি প্লাস্টিক ড্রাম,২ টি ইউপিভিসি পাইপ,২ টি ফ্লাক্সিবেল পাইপ,২ টি ডিজেল স্টার্ট,২ টি চায়না শ্যালো মেশিন ও ৮৬৮৭.৬০ সিএফটি বালির নিলাম ডাকার পক্রিয়া শুরু হয়। নিলামে অংশ গ্রহনের পূর্বে ডাকে অংশগ্রহনকারীরা সহ স্থানীয় অনেকে নিলাম কমিটিকে অবহিত করে ভৈরবনদীতে জব্দকৃত ৩ টি স্তুপের বালির পরিমান আনুমানিক প্রায় ২ হাজার গাড়ি বলে অভিযোগ করেন।

 

অথচ সেখানে যে পরিমান বালি দেখানো হয়েছে তা মাত্র ৭০ গাড়ি। নিলামে সঠিক তথ্য গোপন করে ও বালির মাপ একেবারে কম দেখিয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা। নিলাম কমিটি সহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মানববন্ধন হবে এমন হট্টগোল শুরু হলে নিলাম কমিটি কিছুক্ষন সময় চেয়ে বিষয়টা জেনে তারপর নিলাম পক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের জোর দাবী বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতরা যাতে প্রকাশ্য নিলামে অংশ গ্রহন করতে না পারে ও বালির সঠিক মাপের মাধ্যমে স্বচ্ছ নিলাম অনুষ্ঠিত হয় তার সুব্যাবস্থা করতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়াও প্রকাশ্য নিলামে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য বা সঠিক চিত্র তুলে ধরা না হলে এলাকায় মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা দেন এলাকাবাসী।

 

দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, মোবাইল কোর্টে জব্দ করা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু উন্মুক্ত নিলাম হবার কথা ছিলো। আমি পূর্বনির্ধারিত নিলামের স্থানে পৌঁছুলে স্থানীয়রা বালুর মজুদকৃতর স্থান ২টি না ৩টি বলে অভিযোগ উত্থাপিত করেন। যার কারণে নিলাম স্থগিত করা হয়েছে।

 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন, জব্দকৃত বালুর স্টিমেট ঠিক না থাকায় কারণে নিলাম স্থগিত করা হয়েছে। স্টিমেট ঠিক করে আবার নিলাম ডাকা হবে।