চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার দশমীপাড়ার হাফেজ মো কামরুজ্জামানের কর্মকান্ডে হতবাক হয়েছেন মহল্লাবাসী। গতকাল শনিবার সকালে লুৎফুন নেছা এতিমখানার শিক্ষার্থীদের দিয়ে কবরস্থান সংলগ্ন পরিত্যক্ত গর্তে আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে যান হাফেজ মো কামরুজ্জামান। আগুন লাগানোর ঘন্টা খানেক পর সে আগুনের লেলিহান শিখা পাশ্ববর্তী হাজী মো বদর উদ্দিনের বাড়ির খড়ির গাদায় লেগে দাও দাও করে জ্বলতে থাকে। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশের দিকে উঠতে থাকলে দৃষ্টি পড়ে প্রতিবেশীদের। এসময় ওই মহল্লার প্রতিবেশীদের ডাক চিৎকারে ছুটে আসে আশেপাশে থাকা লোকজন।
প্রতিবেশীদের বাড়ির পানি দিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা যাবত আগুন নেভানোর চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এর কিছু সময় পর হাফেজ মো কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয় ও মহল্লাবাসীরা তাকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জিঙ্গেস করলে তিনি বলেন প্রতিবেশীরা ‘ফু’ দিয়ে ওই বাড়ির খড়ির গাদায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে ও কথাবার্তায় হতবাক হয়েছে স্থানীয় লোকজন ও মহল্লা বাসী। এক পর্যায়ে লোকজনের তোপের মুখে পড়ে স্থান ত্যাগ করে তিনি। স্থানীয় প্রতিবেশীরা বলেছেন, হাফেজ মো কামরুজ্জামান লুৎফুন নেছা এতিমখানা নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। সেখানকার শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি তার বাড়ী ও মাঠের কাজ কর্ম করান। তাদের ঠিকঠাক খেতেও দেন না তিনি। এদিকে, তিনি এই এতিমখানার নাম করে বিভিন্ন দাতা সংস্থা, সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন বরাদ্দ নিয়ে বেশ কয়েক বছরে বনে গেছের অর্থ ও সম্পদের মালিক। তার এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সমস্ত বিষয়াদি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী তুলেছেন মহল্লাবাসী ও স্থানীয়রা।#####