চুয়াডাঙ্গা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা যৌতুকের লোভে নিয়মিতই স্ত্রীকে নির্যাতন, মামলা না করার মুচলেকা নেন স্ত্রীর পরিবারের কাছে ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বাড়ল পর্তুগালকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া, শেষ মুহূর্তে স্পেনের জয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৩৫০ পিচ টেপেন্ডো ট্যাবলেটসহ স্বামী-স্ত্রী আটক হাফপ্যান্ট পরে কনসার্ট করায় গায়িকাকে আক্রমণ পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে ভোলায় কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে

কার্পাসডাঙ্গার প্রতিবন্ধী দম্পতি একটি ঘরের জন্য দ্বারে দ্বারে

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা ভ্থমিহিন পাড়ার প্রতিবন্ধী দম্পতি আশরাফুল ইসলাম ও হাবিবা খাতুন। সমাজের বিত্তবানদের দয়ায় হতদরিদ্র এই দম্পতির দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটলেও মাথাগোঁজা ঠাঁই নেই তাদের। একটি সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। অবশ্য তাদের একটি ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস।

 

জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী আশরাফুল ইসলামের বাবা-মা নেই। বিশের কোঠায় বয়স। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড়। মাস দেড়েক আগে আশরাফুল উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হাবিবা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামের কাছেই থাকতেন।

 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এই দম্পতি তার স্ত্রীর প্রতিবন্ধী ভাতা সুবিধা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পাওয়ার জন্য কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের কাছে যান। চেয়ারম্যান তাদের অসহায় অবস্থা বুঝতে পেরে তাদের খাবার ও চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন। প্রতিবন্ধীভাতা সুবিধা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রসাশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে কথা দেন।

 

প্রতিবেশী ভ্থমিহিন পাড়ার মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ আলি বলেন, ছেলেটি পাগল। সে কোনো কাজ করতে পারে না। তাদের কষ্টের শেষ নেই। ছেলেটি কার্পাসডাঙ্গা ভ্থমিহিন পাড়ায় তার ছোট ভাইয়ের কাছে থাকে। ছোট ভাইটি শ্রমিকের কাজ করে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে। এদের মতো এতিম অসহায় মানুষের পাশে যারা দাঁড়াবে আল্লাহ তাদের ভালো রাখবেন।

 

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, এই প্রতিবন্ধী দম্পতি আমার কাছে আসলে তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে তাদের খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এদের দেখাশোনা করবো। আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  রোকসানা মিতার সাথে কথা বলে দেখবো ওই ঘরটি তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হক এই দম্পতির বিষয়ে বলেন, ছেলেটি প্রতিবন্ধীভাতা পান। কিন্তু তার স্ত্রী  হাবিবা খাতুন কোনো আবেদন করেননি। তবে তাকে প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে না, তার বয়স কম। প্রতিবন্ধী হলে সে অবশ্যই ভাতা পাবে।

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

কার্পাসডাঙ্গার প্রতিবন্ধী দম্পতি একটি ঘরের জন্য দ্বারে দ্বারে

প্রকাশ : ১১:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা ভ্থমিহিন পাড়ার প্রতিবন্ধী দম্পতি আশরাফুল ইসলাম ও হাবিবা খাতুন। সমাজের বিত্তবানদের দয়ায় হতদরিদ্র এই দম্পতির দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটলেও মাথাগোঁজা ঠাঁই নেই তাদের। একটি সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। অবশ্য তাদের একটি ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস।

 

জানা গেছে, মানসিক প্রতিবন্ধী আশরাফুল ইসলামের বাবা-মা নেই। বিশের কোঠায় বয়স। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড়। মাস দেড়েক আগে আশরাফুল উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হাবিবা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামের কাছেই থাকতেন।

 

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এই দম্পতি তার স্ত্রীর প্রতিবন্ধী ভাতা সুবিধা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পাওয়ার জন্য কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের কাছে যান। চেয়ারম্যান তাদের অসহায় অবস্থা বুঝতে পেরে তাদের খাবার ও চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন। প্রতিবন্ধীভাতা সুবিধা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রসাশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে কথা দেন।

 

প্রতিবেশী ভ্থমিহিন পাড়ার মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ আলি বলেন, ছেলেটি পাগল। সে কোনো কাজ করতে পারে না। তাদের কষ্টের শেষ নেই। ছেলেটি কার্পাসডাঙ্গা ভ্থমিহিন পাড়ায় তার ছোট ভাইয়ের কাছে থাকে। ছোট ভাইটি শ্রমিকের কাজ করে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে। এদের মতো এতিম অসহায় মানুষের পাশে যারা দাঁড়াবে আল্লাহ তাদের ভালো রাখবেন।

 

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, এই প্রতিবন্ধী দম্পতি আমার কাছে আসলে তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে তাদের খাওয়া-দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এদের দেখাশোনা করবো। আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ফাঁকা পড়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  রোকসানা মিতার সাথে কথা বলে দেখবো ওই ঘরটি তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা।

দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হক এই দম্পতির বিষয়ে বলেন, ছেলেটি প্রতিবন্ধীভাতা পান। কিন্তু তার স্ত্রী  হাবিবা খাতুন কোনো আবেদন করেননি। তবে তাকে প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে না, তার বয়স কম। প্রতিবন্ধী হলে সে অবশ্যই ভাতা পাবে।