চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগের সমর্থক দবির আলী (৪০) মারা গেছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে তিনি মারা যান। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, গত ১১ মার্চ আলমডাঙ্গা উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার সময় নৌকা মার্কা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন নৌকা মার্কার প্রার্থী হায়াত আলীর কর্মী-সমর্থক দবির মোল্লাসহ বেশ কয়েক জন মিলে জহুরুলনগরের পূর্বপাড়ায় মিন্টুর চায়ের দোকানের সামনে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলসহ বেশ কয়েক জন একই স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় আসেন। ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
‘আহতদের মধ্যে জহুরুলনগর গ্রামের দবির মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার তিনি মারা যান।’
ওসি জানান, দবির মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা বাদী হয়ে ১২ মার্চ আলমডাঙ্গা থানায় ২৪ জনের নামসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
নিহত দবির মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা বলেন, হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। বাবা হত্যার বিচার চাই সরকারের কাছে। আমার বাবা নৌকা মার্কার প্রার্থীর জন্য কাজ করছিলেন। নৌকা মার্কার সমর্থক হওয়ায় জীবন দিতে হলো।
নৌকা মার্কার প্রার্থী হায়াত আলী বলেন, নির্বাচনে আমার এক কর্মী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জীবন দিতে হল। প্রশাসনের কাছে দাবি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নাগদা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল বিজয়ী হয়। নৌকার প্রার্থী পরাজিত হন।