বৃহস্পতিবার বিকেলে ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ অতি তীব্র তাপদাহ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১৬ শতাংশ। গতকাল বুধবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একইসঙ্গে এটি গত ৯ বছরের মধ্যে এ জেলায় রেকর্ড তাপমাত্রা। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ। চুয়াডাঙ্গা-দামুড়হুদা আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। যানবাহনের চাকার সঙ্গে পিচ উঠে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন থেকেও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ঈদের দিন পর্যন্ত এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
এ নিয়ে টানা ১৯ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম জানান, সড়কের কিছু কিছু জায়গায় পিচ গলে যাচ্ছে তীব্র তাপে। ঐ স্থানগুলো বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে পিচ গলে যানবাহনের চাকার সঙ্গে উঠে না যায়। তবে, এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই বলেও জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা এবং এর আশপাশ এলাকায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় টানা ১৯ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।