চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় কিতাব আলীকে (৪৮) কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার তিনজনই হত্যা সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদের দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০) এপ্রিল রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দুই আসামি বিজ্ঞ আদলতে ফেীজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন— দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার শাহাবুদ্দিন শাবুর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৮), একই পাড়ার রমজান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার মিলন হোসেনের ছেলে হাফিজুর (২০)।
এসপি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, ‘হত্যা মামলার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার ও হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা স্বীকার করেছে কিতাব আলী তাদের পরিচিত ছিলো। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে কিতাব আলী ও আসামিরা ঘটনাস্থলে বসে গাঁজা সেবন করে। এসময় টাকা—পয়সার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে কিতাব আলীর সঙ্গে থাকা একটি হাসুয়া কেড়ে নিয়ে আসামি সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও হাফিজুর বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তিন জনকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মাঠ থেকে কিতাব আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দামুড়হুদা মডেল থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়। যার নম্বর ১০