চুয়াডাঙ্গা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় দর কষাকষি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল ২ যুবকের

চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দোকানে দরকষাকষি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে দুজন খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলমডাঙ্গা থানার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে সজল (২৪) ও একই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মামুনুর রহমান (২৫)।

 

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, নিহতদের বন্ধুর মা ভালাইপুর বাজারে আশরাফুলের দোকানে কাপড় কিনতে গেলে দরদাম নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে ওই দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি তিনি তার ছেলে টিপুকে বলেন। টিপু তার বন্ধু সজল ও মামুনুরকে নিয়ে সেই দোকানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।

 

এ সময় আলুকদিয়া হুচুকপাড়ার আকাশ (২৩), সানোয়ার (৫৫), শান্তি (৪৫) ও জাহাঙ্গীর (৩৫) নামে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাদের জখম করে। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া ঘটনার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনুরও মৃত্যুবরণ করেন।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুর রহমান বলেন, সজলের পেটে ধারালো অস্ত্র বা ছুরির আঘাতে নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। এছাড়া ছুরির আঘাতে মামুনুরের বুক ও ফুসফুস গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও প্রাথমিক চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, মরদেহগুলো সদর হাসপতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।

Powered by WooCommerce

চুয়াডাঙ্গায় দর কষাকষি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল ২ যুবকের

আপডেটঃ ০৭:৪৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দোকানে দরকষাকষি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে দুজন খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলমডাঙ্গা থানার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে সজল (২৪) ও একই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মামুনুর রহমান (২৫)।

 

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, নিহতদের বন্ধুর মা ভালাইপুর বাজারে আশরাফুলের দোকানে কাপড় কিনতে গেলে দরদাম নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে ওই দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি তিনি তার ছেলে টিপুকে বলেন। টিপু তার বন্ধু সজল ও মামুনুরকে নিয়ে সেই দোকানে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।

 

এ সময় আলুকদিয়া হুচুকপাড়ার আকাশ (২৩), সানোয়ার (৫৫), শান্তি (৪৫) ও জাহাঙ্গীর (৩৫) নামে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাদের জখম করে। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সজলকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া ঘটনার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনুরও মৃত্যুবরণ করেন।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুর রহমান বলেন, সজলের পেটে ধারালো অস্ত্র বা ছুরির আঘাতে নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। তাকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। এছাড়া ছুরির আঘাতে মামুনুরের বুক ও ফুসফুস গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও প্রাথমিক চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, মরদেহগুলো সদর হাসপতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে।