তিন সপ্তাহ পর চলতি মাসের আট তারিখ থেকে চুয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে পল্লী বিদ্যুৎতের লোডশেডিং। প্রচন্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
রমজান মাসে ভয়াবহ দাবদাহে রোজদার ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু, বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে পোহানোর পর প্রায় তিন সপ্তাহ আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার পর সস্তি পেলেও তিনদিন জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।তাপমাত্র বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে দিনে রাতে ব্যাপক লোডশেডিং। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। হাসপাতাল গুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।
দুপুর হলেই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ।গরমে ভেজা কাপড় গায়ে জড়াচ্ছেন,গাছের ছায়ায় বসে সময় কাটাচ্ছেন অনেকে।রাতেও একই ভাবে ঘন্টায় যাচ্ছে বিদ্যুৎ যাওয়ার নিশ্চায়তা পাওয়া গেলেও কখন আসবে সে খবরও কারো জানা নেই।বেড়েগেছে হাতপাখার কদর দোকান গুলোতে ভিড়লেগে গেছে তাল পাতার হাতপাখা বিক্রির।হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে।
দিনে কম থাকলেও রাতে ঘন্টা ঘন্টায় দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। গত তিনদিন (৮ মে)সোমবার সোমবার ৪১ডিগ্রি সেলসিয়াস,মঙ্গলবার ৪১,২ও আজ বুধবার বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০,৭ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দামুড়হুদা উপজেলা সদরের আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘এমন গরম আগে কখোনো দেখিনি, রোদ গরমে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। বাইরে বেরুলে গা জ্বালা করছে। ফ্যান চালিয়ে কোনো মতে ঘরে থাকছিলাম তাও বিদ্যুৎ থাকছে না। দিনে একটু থাকলে রাতে ঘন্টায় ঘন্টা বিদ্যুৎ যাচ্ছে গরমে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। রাতের অর্ধেক বাড়ীর উঠানে বসে থাকতে হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলা পল্লিবিদ্যুৎ এর অভিযোগ কেন্দ্রে সুত্রে যানাগেছে,অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে উৎপাদন কমে গেছে একারণে লোডশেডিং হচ্ছে। বর্ষা শুরু হলে তাপমাত্রা কমে গেলে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারহানা ওয়াহিদ তানি বলেন, প্রচন্ড দাবদাহের কারনে গতকাল মঙ্গলবার থেকে হাসপাতানে ডায়রিয়া ও হিটস্টোকের রোগীর চাপ অনেকাংশে বেড়েছে। আউটরোরে ও রোগীর সংখা প্রায় দ্বীগুন হয়ে দাড়িয়েছে।