দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা-রঘুনাথপুর ভায়া দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের পুরাতন বাস্তপুর থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা হয়ে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে।
এরই মধ্যে সম্প্রতি পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের আতিয়ার খার সারের দোকানের সন্নিকটে সড়কের মাঝ বরাবর স্থানে কালভাটের নিকট সড়ক ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঐ সড়কে চলাচলকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ছোটবড় যানবাহন গুলোকে।
বেশ কয়েক বছর সড়কটির সংস্কার না করায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বাস্তপুর গ্রামের এলাকার স্থানীয় লোকজন জানান, আঞ্চলিক সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শতস্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ সাধারন মানুষসহ দামুড়হুদা হয়ে চুয়াডাঙ্গা ও রঘুনাথপুর হয়ে দর্শনা –কার্পাসডাঙ্গা,মুজিবনগর যাতায়াতসহ মালবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরে যাওয়া ও সম্প্রতি বাস্তপুর গ্রামের মধ্যে সড়কের মাঝ খানে ধসে বড় ধরনের গর্তের সৃস্টি হওয়ায় চলাচলের চরম বিঘ্ন সৃস্টি হচ্ছ্।
ধসে যাওয়া স্থানে একটি কালভাট থাকলে ও ঐ কালভাট দিয়ে পানি বের হয়না। পানি বের না হওয়ায় পাশ দিয়ে পানি বের হওয়ার কারনে সড়কটি ধসে পড়েছে। এই সড়কে প্রায় সময় ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
হাউলি ইউনিয়নের সাবেক সদস্য পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের জহির উদ্দীন মেম্বর বলেন,সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দে ভরে গেছে। এমনিতেই যাতায়াতের সমস্যা সম্প্রতি রাস্তার সাঝঁখানে ধসে পড়ায় চলাচলের চরম ব্যাঘাত ঘটছে। ধসে পড়ার পাশে রয়েছে একটি কালভাট কিন্তু ঐ কালভাটের মুখ উচু থাকায় ওখান দিয়ে পানি বের হতে না পারায় এই অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। শুধু এ বছরই নয় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঐ স্থানে সড়ক ভেঙ্গে নদীতে চলে যায়।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, সড়কটির প্রায় ৫কিলোমিটারে মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়া স্থানের আপাতত মটি দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। তাছাড়া ও সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রায় আড়াই কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্তা নেওয়া হবে।