চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চুরি যাওয়া মালামালসহ ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুজন আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় চুরি যাওয়া নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মে) ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মেহেরপুর সদর এবং গাংনী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার এবং মালামাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মেহেরপুর জেলার সদর থানার কালীগাংনী গ্রামের জুল্লুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৬) এবং মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার ভিটাপাড়ার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আজিম (৪৬)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন বলেন, আলমডাঙ্গা থানার হাটুভাঙ্গা গ্রামের রবিউল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২) বাদী হয়ে রবিবার (২৮ মে) আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে থাকায় চার রুম বিশিষ্ট একতলা বাড়ির সব দরজায় তালা লাগিয়ে ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে দুপুর ১২টার দিকে বাইরে যান। এরপর বিকাল ৩টায় ফিরে এসে দেখেন বাড়ির মেইন দরজাসহ শোয়ার ঘরে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে এবং শোয়ার ঘরের শোকেচের ড্রয়ারের তালা ভাঙা। এতে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালংকারসহ মোট তিন লাখ চব্বিশ হাজার টাকার মালামাল চুরি যায়।
মামলার পর জেলা গোয়েন্দা শাখার টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় অভিযান চালিয়ে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এবং তার হেফাজত থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল ফোন, ২টি স্বর্ণের হাতের বালা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবিউল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে আলিফ জুয়েলার্সের মালিক আজিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চোরাই মালামালগুলো তার হেফাজতে আছে বলে স্বীকার করেন। তার কাছ থেকে ৩ জোড়া কানের দুল, লকেটসহ ২টি চেইন এবং ৬টি আংটি নিজ হাতে বের করে দেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদেরকে সোমবার (২৯ মে) আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।