প্রচন্ড গরম ও ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারনে বিপর্যস্ত হয়েপড়েছে জনজীবন। দিনরাত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৪ঘন্টার বেশি থাকছে লোডশেডিং।তীব্র তাপদাহ, রাতে ভ্যাপসা গরম সেই সাথে প্রচন্ড মাত্রায় লোডশেডিং এর ফলে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার জনজীবন।
আউশধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষেতে সেচ সংকটের কারনে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আংশকা করছে কৃষকরা। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে কলকারখানা সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো।গত এক সপ্তাহ ধরে যেমন প্রচন্ড তাপদাহ তার সাথে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বেড়েছে। এক ঘন্টা পরপর লোডসেডিং হওয়ায় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কিছুটা নিশ্চিত হয়েছেন বিদ্যুৎ গেলে এক ঘন্টার পর আসবে কিন্তু গেলে ১ঘন্টা ২০ মিনিট থেকে দেড় ঘন্টা পরপর এক ঘন্টা করে পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুৎ।
দিনরাত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৪ঘন্টা দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। লোডশেডিং এর ফলে ভরা আউষ ধান রোপন মৌসুমে বিদ্যুৎতের এমন অবস্থা হওয়ায় কৃষকরা তাদের ক্ষেতে ধান রোপন নিয়ে পড়েছে চরম ভাবে দুঃচিন্তায়। ইতোমধ্যে মাঠে অনেকে আউষ ধান রোপন কাজ শেষ করেছে। সে সব ক্ষেতে সেচ দিতে পাচ্ছে না উৎপাদন নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে অনেক চাষি। বৃষ্টি না থাকায় পাট ক্ষেতে সুকিয়ে গাছ মারাযাচ্ছে।নিয়মমত সেচ দিতে না পালে পাটের বৃদ্ধি যেমন কমে যাবে তেমনি ভাবে উৎপাদন অনেকাংশে কুমে যাওয়ার আশংখা করছেন চাষিরা।এছাড়াও চলতি খরিপ-১মৌসুমে উপজেলায় ব্যপক সব্জী আবাদ হয়েছে।সব্জী গুলো পানির অভাবে মরার উপক্রম হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচ দেওয়া যাচ্ছেনা এভাবে চলতে থাকলে সব্জীগুলো ক্ষেতেই শুকিয়ে যাবে।
দামুড়হুদা উপজেলা সদরের ডালিম এস,এস ইঞ্জিনিয়ারিং থাই কর্ণারের মালিক ডালিম হোসেন বলেন, লোডশেডিং এর কারনে প্রায় সকল কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। আমর এখানে ১০জন শ্রমিক কাজ করে। ঘন্্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হচ্ছে সারাদিনে ৪/থেকে ৫ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তাতে সকল শ্রমিক কাজ কতে পারছে না। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত থাকার পর কোন কাজ ডেলিভারি না দিতে পারলে ও তাদেরকে কাজ না হলে ও ৪হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। একই কথা বললেন আতিকুর ওয়ার্কসপের মালিক আতিকুর রহমান।
এদিকে ইজিবইক ও ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালকরা বলছেন তাদের গাড়িতে চার্জ দিতে ৮ থেকে১০ ঘন্টা সময় লাগে বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের এসব গাড়িতে চার্জ না হওয়ায় গাড়ি চালাতে পাচ্ছেনা। তাদের চলা চল দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
উপজেলা সদরের পুরাতন বাজার পাড়ার নওশাদ আলি বলেন, সপ্তাহ ধরে শুধু রাতেই চার পাচ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে গরমের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। বাড়ীর ছাঁদে খোলা আকাশের নিচে ’গভিররাত পর্যন্ত থাকার পর কোনমতে ঘরে আসতে হচ্ছে।শারীরিকভাবে আমি খুবই অসুস্থবোধ করছি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে ফসলি জমিগুলো মাটি শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। লোডসেডিংএর কারনে বিদ্যুৎ চালিত পাম্পগুলো চালানো যাচ্ছে না। ক্ষেতের ধান সহ খরিপ-১মৌসুমের সবজি ক্ষেত ও পাট ক্ষেত সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষেতের পাট শুকিয়ে যাবে ও বাড়ন কুমে যাবে এতে ফলন অনেকাংশে কুমে যাবে। এছাড়াও সবজি ক্ষেত শুকিয়ে মারা যাবে এতে চাষিরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।