চুয়াডাঙ্গা ০২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি ও জুতাপেটা করার ঘটনায় অভিযুক্ত যুব মহিলা লীগ নেত্রী সামশাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

 

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ।

 

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। সামশাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামের জাহিদুল হায়দারের স্ত্রী। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মহিলা প্যানেল মেয়র।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ (বুধবার) বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল।

 

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলায় সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে সামশাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্কও ছিল।’

 

তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে আসতেই আমার শার্টের কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দিকে নিয়ে যান সামশাদ রানু। একইসঙ্গে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তার পায়ের জুতা খুলেও মারধর করেন।’

 

অভিযুক্ত সামশাদ রানু এ বিষয়ে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কক্ষ না খোলায় আমার ছেলেসহ প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থী সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। সোয়া ১০টার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে আমি তাকে শ্রেণিকক্ষের তালা খোলার কথা বলি। ‘তিনি বলেন- এই দায়িত্ব আমার না, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ও কর্মচারী সিদ্দীকের। তিনি আমাকে উল্টো বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আপনাকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে।’

 

রানু বলেন, “প্রধান শিক্ষকের এমন বক্তব্যের জবাবে তাকে আমি বললাম, আমি এখানে কোনো নেত্রী হিসেবে না, অভিভাবক হিসেবে এসেছি। এরপরই আমি তার জামার কলার চেপে ধরে টেনে নিয়ে ‘তালা খোল’ বলে কক্ষের তালা খুলিয়েছি। তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে।

 

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক থানায় মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সামশাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Powered by WooCommerce

আলমডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

আপডেটঃ ০৮:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি ও জুতাপেটা করার ঘটনায় অভিযুক্ত যুব মহিলা লীগ নেত্রী সামশাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

 

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ।

 

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। সামশাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবি আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামের জাহিদুল হায়দারের স্ত্রী। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মহিলা প্যানেল মেয়র।

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ (বুধবার) বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল।

 

অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলায় সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে সামশাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্কও ছিল।’

 

তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে আসতেই আমার শার্টের কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দিকে নিয়ে যান সামশাদ রানু। একইসঙ্গে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তার পায়ের জুতা খুলেও মারধর করেন।’

 

অভিযুক্ত সামশাদ রানু এ বিষয়ে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কক্ষ না খোলায় আমার ছেলেসহ প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থী সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। সোয়া ১০টার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে আমি তাকে শ্রেণিকক্ষের তালা খোলার কথা বলি। ‘তিনি বলেন- এই দায়িত্ব আমার না, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ও কর্মচারী সিদ্দীকের। তিনি আমাকে উল্টো বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আপনাকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে।’

 

রানু বলেন, “প্রধান শিক্ষকের এমন বক্তব্যের জবাবে তাকে আমি বললাম, আমি এখানে কোনো নেত্রী হিসেবে না, অভিভাবক হিসেবে এসেছি। এরপরই আমি তার জামার কলার চেপে ধরে টেনে নিয়ে ‘তালা খোল’ বলে কক্ষের তালা খুলিয়েছি। তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে।

 

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক থানায় মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সামশাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।