এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রায় দুই হাজার বিঘা জমি দুই ফসল (ধান) উৎপাদনের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। জলাবদ্ধ এই জমি চাষের আওতায় আনতে প্রযোজন প্রায় দুই কিলোমিটার ড্রেনের।প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, সদর ইউপি চেয়ারম্যন হযরত আলি সহ অনেকে গতকাল শুক্রবার (১৬জুন) বেলা ১১টার দিকে জলাবদ্ধ বিলসহ ড্রেন নির্মান এলাকা পরিদর্শন করলেন।
জানাগেছে,দামুড়হুদায় আব্দুল ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের পেছন থেকে উজিরপুর পর্যন্ত সোলাগাড়ি ও দোবিল এলাকায় প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি সারা বছর জলবদ্ধ হয়ে থাকে। বিলার কিনারায় সামান্য পরিমান জমিতে একটি ধান ফসলের চাষ হলে ও প্রায় ২হাজার বিঘা জমি থাকে জলাবদ্ধ। দুই কিলোমিটার ড্রেন নির্মান করে মাধাভাঙ্গা নদিতে পনি নিক্সাশনের ব্যবস্থা করা হলে প্রায় ২হাজার বিঘা জমিতে দুটি ফসল (ধান) উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এবিষয় নিয়ে গত প্রায় ৭মাস আগে উপজেলা সদরের ঐ বিলের জমির মালিক দীন মোহাম্মদ,আব্দুর রাজ্জাকসহ বেশ কয়েক জন কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজামানের সাথে উক্ত জমিগুলো চাষের আওতায় আনার বিষয় আলোচনা হয়।
ঐ সময় দৈনিক মাথাভাঙ্গায় এসংক্রান্ত রিপোট প্রকাশ হয়।এরপর চলতি বছরের ২৭মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সভাপতি অধক্ষ্য সাজাহান খাঁন ও সেক্রেটারী দিদারুল ইসলাম ও কৃষক দীন মোহাম্মদ প্রশাসক বরাবর উক্তগুলো চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আবেদন করেন। এরপর বিষয়টি জেলা প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে দেখার জন্য বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ্ওই বিল ও ড্রেন নির্মানের স্থান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলিকে কৃষকদের নিয়ে বসে সকলের মতামতের ভিত্তিত্বে একটি নকশা তৈরী করার জন্য বলেন।
নকশা তৈরীরর পর পরবর্তী করনিয় বিষয় গ্রহন করা হরে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলি,চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধক্ষ্য সাজাহান আলি খান,সাধারন সম্পাদক দিদারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন,উপজেলা সিআইজির সভাপতি দামুড়হুদা সদর ইউপির সদস্য সামসুল ইসলাম, চাষাবাদ প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মশিউর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচ, কৃষক নজরুল ইসলাম,রাজ্জাক আলি,মুনছুর আলি।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা কিভাবে মহাসড়ক পেরিয়ে কিভাবে মাথাভাঙ্গা নদী পর্যন্ত ড্রেন করা যায় সদর ইউপি চেয়ারম্যান কে নিয়ে ঘুরে দেখেন।