চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগের তিন নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে কিছু ছাত্রলীগের কর্মীর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নীলমনিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হিটুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি।
আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হিটু (৫০), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম (৪৫) ও যুবলীগ নেতা রাজিব হাসান বঙ্গ (৩৭)।
মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আঃলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের কিছু ছেলে উশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে। তারা এলাকায় কিশোর গ্যাং নামেও পরিচিত। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দুই নেতা ও একজন যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করেছে। একজনের দুই পা ভেঙে দিয়েছে। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে। কোনোভাবেই কিশোর গ্যাংদের ছাড় দেওয়া হবে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উসামা জামান বলেন, রাজিব হাসানের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। বাকি দুজন রড কিংবা শক্ত লাঠি জাতীয় কোনো কিছুর আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে হাফিজুর রহমান হিটুর দুই পা ভেঙে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। কাউকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।