চুয়াডাঙ্গা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা সীমান্তে নিহত দু’জনের লাশ ১২ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে ভারত অভ্যান্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী দু’নাগরিকের ১ সন্তানের জনক সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও ২ সন্তানের জনক খাঁজা মঈনুদ্দিনের মরহেদ গত ১২ দিনেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

 

ঘটনার ১২ দিন পর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও লাশ ফেরত পেলেন না নিহত দ্বয়ের পরিবার।

বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি।

 

নিহত সাইদুল চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে ও খাজা মঈনুদ্দিন একই একলার শরিয়ত উল্লার ছেলে।

 

জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন সঙ্গবদ্ধ গরু চোরাকারবারী ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।

 

ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে চোরাকারবারীরা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়।

 

এসময় বিএসএফ দল চোরাকারবারীদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুরলে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন নামের দুই গরু চোরাকারবারী।

 

ঘটনার পরদির রবিবার সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফ’কে পত্র দিলেও বিএসএফ তাতে সাড়া না দেওয়ায়
লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।

 

দীর্ঘ ১২ দিন পর বিএসএফ লাশ দুটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বিজিবিকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রন জানায়। বিএসএফের আমন্ত্রনে পতাকা বৈঠকে সাড়াদেয় বিজিবি।

 

তারই প্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে সীমান্তের ৮২/২ এস মেইন পিলার সংলগ্ন শূন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএ ‘র পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে ভেস্তে যাওয়ায় লাশ ফেরত প্রক্রিয়া। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।

 

বৈঠকে বায়লাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা -৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবির উপ সহকারি পরিচালক মেজর হায়দার, বাড়াদি বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার, দর্শনা থানার এস আই সোহেল আহম্মেদ, স্থানীয় ইউ পি মেম্বার আঃ রহমান এবং ভারতের পক্ষে গো্বিন্দপুর বি এস এফ ক্যাম্পের কমান্ডার শ্রী বাপ্পিন মজুমদার ও কেস্টগন্জ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

 

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর আইনী জটিলতা (লাশ ফেরতের সঠিক কাগজ পত্র বিএসএফ আনেনি) থাকায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠক থেকে লাশ ফেরত নিয়েগেছে বিএসএফ।

 

স্থানীয় ইউ পি মেম্বার আঃ রহমান জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে ছয়ঘরি গ্রামের হায়দার আলির ছেরে সাজেদুল ও শরিয়ত আলির ছেলে খাজা মইনুদ্দিন অবৈধভাবে বাড়াদি সীমান্ত পার হওয়ার চেস্টা করলে টহল বি এস এফ তাদের লক্ষ করে গুলি বর্ষন করে। এ সময় গুলিতে দুই বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সরকারি নাম্বারে ফোন দিয়ে তিনাকে পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবননগরে অধিকমূল্যে সার বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

দামুড়হুদা সীমান্তে নিহত দু’জনের লাশ ১২ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ

প্রকাশ : ০৪:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে ভারত অভ্যান্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী দু’নাগরিকের ১ সন্তানের জনক সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও ২ সন্তানের জনক খাঁজা মঈনুদ্দিনের মরহেদ গত ১২ দিনেও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

 

ঘটনার ১২ দিন পর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে দর্শনা বাড়াদি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও লাশ ফেরত পেলেন না নিহত দ্বয়ের পরিবার।

বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান বিজিবি।

 

নিহত সাইদুল চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে ও খাজা মঈনুদ্দিন একই একলার শরিয়ত উল্লার ছেলে।

 

জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন সঙ্গবদ্ধ গরু চোরাকারবারী ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২ মেইন পিলারের কাছ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।

 

ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে চোরাকারবারীরা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়।

 

এসময় বিএসএফ দল চোরাকারবারীদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুরলে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় সাইদুল ও খাঁজা মইনুদ্দিন নামের দুই গরু চোরাকারবারী।

 

ঘটনার পরদির রবিবার সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফ’কে পত্র দিলেও বিএসএফ তাতে সাড়া না দেওয়ায়
লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি।

 

দীর্ঘ ১২ দিন পর বিএসএফ লাশ দুটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বিজিবিকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রন জানায়। বিএসএফের আমন্ত্রনে পতাকা বৈঠকে সাড়াদেয় বিজিবি।

 

তারই প্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে সীমান্তের ৮২/২ এস মেইন পিলার সংলগ্ন শূন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএ ‘র পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে ভেস্তে যাওয়ায় লাশ ফেরত প্রক্রিয়া। ফলে লাশ নিয়ে ফিরে যায় বিএসএফ।

 

বৈঠকে বায়লাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা -৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবির উপ সহকারি পরিচালক মেজর হায়দার, বাড়াদি বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার, দর্শনা থানার এস আই সোহেল আহম্মেদ, স্থানীয় ইউ পি মেম্বার আঃ রহমান এবং ভারতের পক্ষে গো্বিন্দপুর বি এস এফ ক্যাম্পের কমান্ডার শ্রী বাপ্পিন মজুমদার ও কেস্টগন্জ থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

 

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর আইনী জটিলতা (লাশ ফেরতের সঠিক কাগজ পত্র বিএসএফ আনেনি) থাকায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠক থেকে লাশ ফেরত নিয়েগেছে বিএসএফ।

 

স্থানীয় ইউ পি মেম্বার আঃ রহমান জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে ছয়ঘরি গ্রামের হায়দার আলির ছেরে সাজেদুল ও শরিয়ত আলির ছেলে খাজা মইনুদ্দিন অবৈধভাবে বাড়াদি সীমান্ত পার হওয়ার চেস্টা করলে টহল বি এস এফ তাদের লক্ষ করে গুলি বর্ষন করে। এ সময় গুলিতে দুই বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সরকারি নাম্বারে ফোন দিয়ে তিনাকে পাওয়া যায়নি।