চুয়াডাঙ্গা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দামুড়হুদায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা বাংলাদেশ গড়ি,নাজমুল হামিদ রেজা বিএনপি নেতা বাবু খানের দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান কুড়ুলগাছি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দিবে বিএনপি খুলনা রেঞ্জে পুলিশ সদস্যদের বদলি, পদায়নে লটারি দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা ও বিদায়ী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউএনও মমতাজ মহল-সাংবাদিকেরা সব সময় দেশের কল্যাণে কাজ করে   জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নৌবাহিনীর ৬৭ সদস্যের ঢাকা ত্যাগ দর্শনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা

আবহাওয়ার জনিত কারণে চুয়াডাঙ্গায় নিউমোনিয়া, জ্বর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ রোগী রয়েছে শিশুরা।

avashnews

 

এতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লে গুলোতে প্রতিদিন অসংখ্যহারে ভর্তি হচ্ছে রোগী। সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে চাপ রয়েছে হাসপাতালের বহিঃবিভাগেও। প্রতিদিন জ্বর, ঠান্ডা, কাশি আক্রান্ত হয়ে ৮শ থেকে ১হাজার শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠিক এ সময়ে আবহাওয়াও পরিবর্তণ এর কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অতিরিক্ত যত্ন ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই।

 

শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) সকালে সদর হাসপাতালের পুরনো ভবন ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমান পা ফেলার জায়গা নেই। এমনকি পুরনো ভবনের কলপসিবল গেট পর্যন্ত পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু রোগীরা৷ একদিকে শিশু রোগীদের যেমন চাপ, তেমনই লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা৷

গত ৯ দিনে অর্থাৎ ৭ অক্টোবর থেকে আজ ১৫ অক্টোবর সকাল ৯ টা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডের মোট ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪শ শিশুর ও বেশি রোগী। এরমধ্যে ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন।

 

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রেহেনা পারভিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এবার অতিরিক্ত হারে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পা ফেলার জায়গা নেই। একদিকে লোকবল সঙ্কট অপরদিকে রোগীদের চাপ সামলাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদরের চিকিৎসা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, গত ৪দিন আগে হঠাৎ করেই আমার ছেলের প্রচণ্ড জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও কম না হলে দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

চিকিৎসা নিতে আসা অপর এক ব্যক্তি বলেন , আমার নাতী জ্বর ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। অবস্থা বেগতিক হলে গতকাল সোমবার সকালে ভর্তি করি। ওয়ার্ডে কোন জায়গা নেই ওয়ার্ডে। নাতীকে নিয়ে মেঝেই চিকিৎসা দিচ্ছি।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি বেড়েছে বয়ো বৃদ্ধের ৷ তবে এরমধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত।

জনপ্রিয় সংবাদ

দামুড়হুদায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে জ্বর, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা

প্রকাশ : ০৪:১৮:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

আবহাওয়ার জনিত কারণে চুয়াডাঙ্গায় নিউমোনিয়া, জ্বর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ রোগী রয়েছে শিশুরা।

avashnews

 

এতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লে গুলোতে প্রতিদিন অসংখ্যহারে ভর্তি হচ্ছে রোগী। সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে চাপ রয়েছে হাসপাতালের বহিঃবিভাগেও। প্রতিদিন জ্বর, ঠান্ডা, কাশি আক্রান্ত হয়ে ৮শ থেকে ১হাজার শিশু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠিক এ সময়ে আবহাওয়াও পরিবর্তণ এর কারণে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের অতিরিক্ত যত্ন ও অভিভাবকদের সচেতনতার বিকল্প নেই।

 

শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) সকালে সদর হাসপাতালের পুরনো ভবন ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে তিল পরিমান পা ফেলার জায়গা নেই। এমনকি পুরনো ভবনের কলপসিবল গেট পর্যন্ত পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু রোগীরা৷ একদিকে শিশু রোগীদের যেমন চাপ, তেমনই লোকবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা৷

গত ৯ দিনে অর্থাৎ ৭ অক্টোবর থেকে আজ ১৫ অক্টোবর সকাল ৯ টা পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডের মোট ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪শ শিশুর ও বেশি রোগী। এরমধ্যে ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন।

 

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ রেহেনা পারভিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এবার অতিরিক্ত হারে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পা ফেলার জায়গা নেই। একদিকে লোকবল সঙ্কট অপরদিকে রোগীদের চাপ সামলাতে প্রচুর বেগ পেতে হচ্ছে।

 

চুয়াডাঙ্গা সদরের চিকিৎসা নিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, গত ৪দিন আগে হঠাৎ করেই আমার ছেলের প্রচণ্ড জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করেও কম না হলে দুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছেলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

চিকিৎসা নিতে আসা অপর এক ব্যক্তি বলেন , আমার নাতী জ্বর ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। অবস্থা বেগতিক হলে গতকাল সোমবার সকালে ভর্তি করি। ওয়ার্ডে কোন জায়গা নেই ওয়ার্ডে। নাতীকে নিয়ে মেঝেই চিকিৎসা দিচ্ছি।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সদর হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে পাশাপাশি বেড়েছে বয়ো বৃদ্ধের ৷ তবে এরমধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। ৫০ শতাংশই নিউমোনিয়া আক্রান্ত।