চুয়াডাঙ্গা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা আলমডাঙ্গায় কম্বল চুরি,মাদক ব্যবসার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আটক দর্শনায় দু মহিলাকে কুপিয়ে জখম,যুবক আটক রুট পরিবর্তন হচ্ছে না বেনাপোল-সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চুয়াডাঙ্গায় রুট পরিবর্তনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ চুয়াডাঙ্গার সড়কে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে নারী নিহত ঝিনাইদহে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণীর অনশন দামুড়হুদায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ দর্শনায় বি এন পি নেতাকে কুপালো যুবলীগ কর্মী জীবননগর থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী গ্রেফতার

গাংনীর সুমন হত্যা মামলায় একজনের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড

মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামের ব্যবসায়ি সুমন হত্যা মামলায় একজনের ৮ বছরের কারান্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
দন্ডিত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল আওয়াল। সে গাংনীর কাজিপুর রিফিউজি পাড়ার জাহার কাশেম ওরফে খুশি মন্ডলের ছেলে। তাকে মেহেরপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর ব্রীজ বাজার থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাই সাইকেল যোগে ফেরার পথে আব্দুল আওয়ালসহ কয়েকজন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে ব্যবসায়ি সুমনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা সুমনকে উদ্ধার করে স্থানে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়।

 

এ ঘটনায় সুমনের বাবা শমসের আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় দু’জন নামীয় ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে একটি মাললা দায়ের করেন। যার মামলা নং- জেআর ১৮৪/১৫ তারিখ- ১৫-০৬-১৫। কয়েকদিন পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরীত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মুক্তার হোসেন মামলার তদন্ত শেষে আব্দুল আওয়ালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় চারজন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ বাদী বিবাদীর আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আসামী আওয়ালের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৮ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড আদেশ প্রদান করেন।

 

 

মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. কাজী শহিদুল হক ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. এ.কে.এম শফিকুল আলম।

 

 

চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

গাংনীর সুমন হত্যা মামলায় একজনের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড

প্রকাশ : ০২:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামের ব্যবসায়ি সুমন হত্যা মামলায় একজনের ৮ বছরের কারান্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচার রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
দন্ডিত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল আওয়াল। সে গাংনীর কাজিপুর রিফিউজি পাড়ার জাহার কাশেম ওরফে খুশি মন্ডলের ছেলে। তাকে মেহেরপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর ব্রীজ বাজার থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাই সাইকেল যোগে ফেরার পথে আব্দুল আওয়ালসহ কয়েকজন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে ব্যবসায়ি সুমনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা সুমনকে উদ্ধার করে স্থানে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়।

 

এ ঘটনায় সুমনের বাবা শমসের আলী বাদী হয়ে গাংনী থানায় দু’জন নামীয় ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত করে একটি মাললা দায়ের করেন। যার মামলা নং- জেআর ১৮৪/১৫ তারিখ- ১৫-০৬-১৫। কয়েকদিন পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরীত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মুক্তার হোসেন মামলার তদন্ত শেষে আব্দুল আওয়ালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় চারজন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্য গ্রহণ বাদী বিবাদীর আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আসামী আওয়ালের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ৮ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড আদেশ প্রদান করেন।

 

 

মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. কাজী শহিদুল হক ও আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. এ.কে.এম শফিকুল আলম।