চুয়াডাঙ্গা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়ীয়া গ্রামে স্ত্রী-বাবা ও মায়ের উপর অভিমানে চিরকুট লিখে বন্ধুর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন সাইদুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবক। যুবক সাইদুল বেতবাড়ীয়া গ্রামের রিফুজীপাড়ার শাহিন আলীর ছেলে।

 

শুক্রবার সকালের দিকে বেতবাড়ীয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার বন্ধু পারভেজ আলীর ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচানো সাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ।

 

স্থানীয়রা জানান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সিহালা গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে ফাতেহা খাতুনের সাথে প্রেমেজ সম্পর্কের সূত্র ধরে এক বছর আগে বিয়ে হয় সাইদুলের। সাইদুল ঢাকার একটি কোম্পানীতে চাকরী করে আসছিলেন। তিনি কয়েকদিন পূর্বে (আগে) ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে শুনেন স্ত্রী ফাতেহা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছেন। এনিয়ে অভিমানে সাইদুল তার বাবা-মায়ের সাথে অসদাচরণ করেন। এক পর্যায়ে সে বাবা-মায়ের উপর অভিমানে বন্ধু একই গ্রামের পারভেজ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন।

 

বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খাওয়ার পর সাইদুল তার বন্ধু পাভেজ এর বাড়িতে শুয়ে পড়েন। বন্ধুর পারভেজ ঘুমিয়ে গেলে,সাইদুল ওই ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পারভেজ দেখেন সাইদুলের মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

 

এদিকে আত্মহত্যার আগে সাইদুল একটি চিরকুট লিখেছেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় এমন কথা লিখেছেন চিরকুটে।

 

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

গাংনীতে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেটঃ ০৯:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়ীয়া গ্রামে স্ত্রী-বাবা ও মায়ের উপর অভিমানে চিরকুট লিখে বন্ধুর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন সাইদুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবক। যুবক সাইদুল বেতবাড়ীয়া গ্রামের রিফুজীপাড়ার শাহিন আলীর ছেলে।

 

শুক্রবার সকালের দিকে বেতবাড়ীয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার বন্ধু পারভেজ আলীর ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচানো সাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ।

 

স্থানীয়রা জানান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সিহালা গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে ফাতেহা খাতুনের সাথে প্রেমেজ সম্পর্কের সূত্র ধরে এক বছর আগে বিয়ে হয় সাইদুলের। সাইদুল ঢাকার একটি কোম্পানীতে চাকরী করে আসছিলেন। তিনি কয়েকদিন পূর্বে (আগে) ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে শুনেন স্ত্রী ফাতেহা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছেন। এনিয়ে অভিমানে সাইদুল তার বাবা-মায়ের সাথে অসদাচরণ করেন। এক পর্যায়ে সে বাবা-মায়ের উপর অভিমানে বন্ধু একই গ্রামের পারভেজ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেন।

 

বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খাওয়ার পর সাইদুল তার বন্ধু পাভেজ এর বাড়িতে শুয়ে পড়েন। বন্ধুর পারভেজ ঘুমিয়ে গেলে,সাইদুল ওই ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পারভেজ দেখেন সাইদুলের মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

 

এদিকে আত্মহত্যার আগে সাইদুল একটি চিরকুট লিখেছেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় এমন কথা লিখেছেন চিরকুটে।

 

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা।