বুধবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গিয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম। এ সময় বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক এএইচএম আনোয়ার পাশা, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক শোয়াইব আহমদ খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রবাসী কর্মীদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন।
বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম আনোয়ার পাশা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোজার মাসে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজারের বেশি প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরেছেন। সেই হিসাবে প্রায় এক লাখ কর্মী ফিরেছেন বলে ধারণা করা যায়। বিএমইটি চেয়েছে এই প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরা যেন নির্বিঘ্ন হয়।
২০২২ সালে বিএমইটির ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক অর্থাৎ ১১ লাখ ১৩ হাজার কর্মীকে ১৬৭ বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানান
সংস্থার মহাপরিচালক শহীদুল আলম। এছাড়া একই বছরে রেমিটেন্স এসেছে ১৯ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে চূড়ান্তভাবে কাজ করছে বিএমইটি। সংস্থাটি জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, আপনজনদের সঙ্গে উৎসব পালন করতে মাতৃভূমিতে ফেরার সময় কর্মীদের মনে বিশেষ আবেগ ও যত্ন প্রাপ্তির প্রত্যাশা থাকে। এজন্য প্রবাসী কর্মীদের নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারার আনন্দ দিতে বিমানবন্দর থেকে দেওয়া সব সেবা সহজ করার মাধ্যমে দায়িত্বে নিয়োজিত সবাইকে বিশেষ সেবাদানের অনুরোধ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোভিডের কারণে মাঝে প্রবাসী কর্মীরা নানা সংকটে পড়েছিলেন উল্লেখ করে আনোয়ার পাশা বলেন, ‘যার কারণে অনেকেই দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি। বুধবার তাদের অনেকের সঙ্গেই কথা হলো। তারা জানালেন, চার বছর-পাঁচ বছর পর বাড়ি ফিরছে। তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিএমইটি কাজ করছে।’