চুয়াডাঙ্গা ০১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাগামহীন দামে নারীরা ঝুঁকছেন সিটি গোল্ডে

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। এতে ক্রেতাসংকটে স্বর্ণকাররা। কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। নারীদের পছন্দ থাকলেও স্বর্ণের গহনা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন সিটি গোল্ডের দিকে। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতাদের।

 

শহরের সবচেয়ে বড় স্বর্ণকার সাখারীপট্টি যেখানে ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম থাকতো দিনের বেশিরভাগ সময়, সেখানে এখন কমে এসেছে ক্রেতাদের ভির  । এখানকার অধিকাংশ দোকানেই ক্রেতা সংকট। আগে প্রতিদিন গড়ে ৩-৫ লাখ টাকা প্রতিটি দোকানে বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে বেচাকেনায়। নানান ডিজাইনে তৈরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে বসে থাকলেও নেই ক্রেতা। যাও আছে দাম নাগালের বাইরে থাকায় অনেকেই ঝুঁকছেন সিটি গোল্ডের গহনার দিকে।

 

বিক্রেতারা জানান, মাসে প্রতিটি দোকানি ৫-৭টি বিয়েতে অর্ডারের মাধ্যমে স্বর্ণের গহনা সরবরাহ করতেন। কিন্তু স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পাল্টে গেছে সে চিত্র। এজন্য সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণ আমদানি শুল্কমুক্ত করে সরকারি প্রণোদনা না দিলে শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা।

 

যেগুলোতে কর্মরত আছেন ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারী। এসব শ্রমিক-কর্মচারী দিনরাত মিলিয়ে ১৬-১৮ ঘণ্টা স্বর্ণের গহনা নির্মাণে ব্যস্ত থাকলেও এখন বেশির ভাগ কাটাচ্ছেন সময় অলস। কাজ না থাকায় এ পেশার পরিবর্তন করে অনেকে আবার চলে গেছেন অন্য ব্যবসায়।

 

ক্রেতা রোকেয়া বেগম বলেন, স্বর্ণের মার্কেটে এসেছিলাম গহনা কিনবো, দাম শুনেই হতবাক। স্বর্ণ নয়, সিটিগোল্ডের গহনা কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে এখন সিটিগোল্ডই ভরসা।

 

অপর এক ক্রেতা নূপুর আক্তার বলেন, নারীদের প্রথম পছন্দ স্বর্ণের গহনা। কিন্তু এখন বাজারে স্বর্ণের যে দাম তাতে সিটিগোল্ড ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাজার ঘুরে দেখছি, কী করবো চিন্তায় পড়ে গেছি।

 

কয়েক বছর ধরে প্রতিনিয়তই বাড়ছে স্বর্ণের দাম। তাই ক্রেতারা স্বর্ণের গহনা এখন আর বেশি কিনছেন না, তাই অনেক স্বর্ণের দোকানে সিটিগোল্ডের গহনা বিক্রি হচ্ছে। নারীরাও সাধ্যের মধ্যে এ সিটিগোল্ড কিনছেন। এতে শ্রমিকদের কাজও কমে যাচ্ছে। অনেকেই বেকার সময় কাটাচ্ছেন।

 

সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দেয়; কিন্তু এ স্বর্ণ খাতে প্রণোদনা না দেয়ায় স্বর্ণশিল্প এখন অনেকটাই হুমকির মুখে। এছাড়া, সিন্ডিকেট থাকায় বাজারে লাগামহীন থাকে স্বর্ণের দাম।

 

বর্তমানে স্বর্ণ শিল্পকে টিকেয়ে রাখা কঠিন। যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে আগামীতে নতুন করে কেউ করতে এ ব্যবসা আসবে না। এজন্য সরকারের সহযোগিতা একান্তই প্রয়োজন।

Source link

Powered by WooCommerce

লাগামহীন দামে নারীরা ঝুঁকছেন সিটি গোল্ডে

আপডেটঃ ০২:০৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। এতে ক্রেতাসংকটে স্বর্ণকাররা। কাজ না থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। নারীদের পছন্দ থাকলেও স্বর্ণের গহনা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন সিটি গোল্ডের দিকে। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতাদের।

 

শহরের সবচেয়ে বড় স্বর্ণকার সাখারীপট্টি যেখানে ক্রেতাদের পদচারণায় সরগরম থাকতো দিনের বেশিরভাগ সময়, সেখানে এখন কমে এসেছে ক্রেতাদের ভির  । এখানকার অধিকাংশ দোকানেই ক্রেতা সংকট। আগে প্রতিদিন গড়ে ৩-৫ লাখ টাকা প্রতিটি দোকানে বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে বেচাকেনায়। নানান ডিজাইনে তৈরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে বসে থাকলেও নেই ক্রেতা। যাও আছে দাম নাগালের বাইরে থাকায় অনেকেই ঝুঁকছেন সিটি গোল্ডের গহনার দিকে।

 

বিক্রেতারা জানান, মাসে প্রতিটি দোকানি ৫-৭টি বিয়েতে অর্ডারের মাধ্যমে স্বর্ণের গহনা সরবরাহ করতেন। কিন্তু স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পাল্টে গেছে সে চিত্র। এজন্য সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণ আমদানি শুল্কমুক্ত করে সরকারি প্রণোদনা না দিলে শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা।

 

যেগুলোতে কর্মরত আছেন ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারী। এসব শ্রমিক-কর্মচারী দিনরাত মিলিয়ে ১৬-১৮ ঘণ্টা স্বর্ণের গহনা নির্মাণে ব্যস্ত থাকলেও এখন বেশির ভাগ কাটাচ্ছেন সময় অলস। কাজ না থাকায় এ পেশার পরিবর্তন করে অনেকে আবার চলে গেছেন অন্য ব্যবসায়।

 

ক্রেতা রোকেয়া বেগম বলেন, স্বর্ণের মার্কেটে এসেছিলাম গহনা কিনবো, দাম শুনেই হতবাক। স্বর্ণ নয়, সিটিগোল্ডের গহনা কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে এখন সিটিগোল্ডই ভরসা।

 

অপর এক ক্রেতা নূপুর আক্তার বলেন, নারীদের প্রথম পছন্দ স্বর্ণের গহনা। কিন্তু এখন বাজারে স্বর্ণের যে দাম তাতে সিটিগোল্ড ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাজার ঘুরে দেখছি, কী করবো চিন্তায় পড়ে গেছি।

 

কয়েক বছর ধরে প্রতিনিয়তই বাড়ছে স্বর্ণের দাম। তাই ক্রেতারা স্বর্ণের গহনা এখন আর বেশি কিনছেন না, তাই অনেক স্বর্ণের দোকানে সিটিগোল্ডের গহনা বিক্রি হচ্ছে। নারীরাও সাধ্যের মধ্যে এ সিটিগোল্ড কিনছেন। এতে শ্রমিকদের কাজও কমে যাচ্ছে। অনেকেই বেকার সময় কাটাচ্ছেন।

 

সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দেয়; কিন্তু এ স্বর্ণ খাতে প্রণোদনা না দেয়ায় স্বর্ণশিল্প এখন অনেকটাই হুমকির মুখে। এছাড়া, সিন্ডিকেট থাকায় বাজারে লাগামহীন থাকে স্বর্ণের দাম।

 

বর্তমানে স্বর্ণ শিল্পকে টিকেয়ে রাখা কঠিন। যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে আগামীতে নতুন করে কেউ করতে এ ব্যবসা আসবে না। এজন্য সরকারের সহযোগিতা একান্তই প্রয়োজন।

Source link