প্রতি বছর ঈদ এলেই রেলের অগ্রিম টিকিট পেতে স্টেশনগুলোতে মানুষের দীর্ঘ লাইন থাকতো। বিশেষ করে কমলাপুর রেল স্টেশনে ঈদের অগ্রিম টিকিট পেতে যাত্রীদের ১৮/২০ ঘণ্টা বা তারচেয়েও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। দীর্ঘ লাইনে অনেকে পাননি টিকিট। কয়েক দশক ধরে চলা এমন দৃশ্য এবার বদলে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। তবে এবার শতভাগ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার শরিফুল আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।
আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের অগ্রিম টিকিট ৭ এপ্রিল থেকে বিক্রয় করা হবে। এদিন বিক্রি হবে ১৭ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। একইভাবে ৮ এপ্রিল ১৮ এপ্রিলের, ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রয় হবে ২১ এপ্রিলের ঈদ যাত্রার টিকেট।
ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলবে।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুধুমাত্র অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে। টিকিটপ্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে BR NID নম্বর জন্ম তারিখ (জন্ম তারিখের ফরম্যাট- জন্ম সাল/মাস/দিন) লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।
ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে নিবন্ধন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে কি না, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া https://eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট অথবা ‘Rail Sheba’ app-এ সঠিক এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ভেরিফাই পূর্বক অন্যান্য তথ্য দেওয়া সাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে।
বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন না। স্ট্যান্ডিং যাত্রীদের ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি আসনের টিকিট কিনতে পারবেন। তবে অনলাইনে টিকিট কেনার সময় সহযাত্রীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিপিবদ্ধ করতে হবে। এ ছাড়া ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি/সফটকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর নাম ও এনআইডি নম্বর যাত্রী কর্তৃক প্রদর্শিত পরিচয়পত্রের সঙ্গে না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।