চুয়াডাঙ্গা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার আহ্বান

তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা জারি বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

 

রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাসহ বেশিরভাগ জেলায় রেকর্ড তাপমাত্রা পরিস্থিতিতে দেশে ‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীকে উল্লেখ করে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিষয়টিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বিধায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অবস্থান পরিষ্কার করা হলো।

 

 

প্রকৃত বিষয় হলো- আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের আবহাওয়ার দৈনন্দিন বিষয় জনগণের অবগতির জন্য নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করে থাকে। চরম আবহাওয়ার কারণে জনগণের স্বাস্থ্যগত কোনো বিষয় থাকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে থাকে।

একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি পরিবেশমন্ত্রীকে ‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া জনিত জরুরি অবস্থা জারি করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বৃষ্টি হলেই এ দাবদাহ কমে যাবে। সরকার এ জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কি না তা ভবিষ্যতের বিষয়।

 

মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, বর্তমানে দেশে যে দাবদাহ বয়ে চলেছে এর জন্য মূলত, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দায়ী। বৈশ্বিক এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে ইউএনএফসিসিসির আওতায় বিশ্বব্যাপী নানাবিধ কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হালনাগাদ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান জমাদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়ন। বিশ্বের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।

 

 

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার আহ্বান

আপডেটঃ ০৭:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা জারি বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

 

রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাসহ বেশিরভাগ জেলায় রেকর্ড তাপমাত্রা পরিস্থিতিতে দেশে ‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীকে উল্লেখ করে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিষয়টিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বিধায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অবস্থান পরিষ্কার করা হলো।

 

 

প্রকৃত বিষয় হলো- আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের আবহাওয়ার দৈনন্দিন বিষয় জনগণের অবগতির জন্য নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করে থাকে। চরম আবহাওয়ার কারণে জনগণের স্বাস্থ্যগত কোনো বিষয় থাকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে থাকে।

একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি পরিবেশমন্ত্রীকে ‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া জনিত জরুরি অবস্থা জারি করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বৃষ্টি হলেই এ দাবদাহ কমে যাবে। সরকার এ জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কি না তা ভবিষ্যতের বিষয়।

 

মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, বর্তমানে দেশে যে দাবদাহ বয়ে চলেছে এর জন্য মূলত, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দায়ী। বৈশ্বিক এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে ইউএনএফসিসিসির আওতায় বিশ্বব্যাপী নানাবিধ কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হালনাগাদ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান জমাদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়ন। বিশ্বের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।