চুয়াডাঙ্গা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লায় ফেনসিডিল সেবনের সময় ১যুবক আটক: অর্থের বিনিময়ে জীবননগরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিলো মাদক ব্যবসায়ীর রাজন, থানায় জিডি মুজিবনগরে ২৯২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মানিক গ্রেফতার চুয়াডাঙ্গায় উন্নত ব্যবস্থাপনায় মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ চুয়াডাঙ্গায় আন্ত‌জেলা অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় ৬ সদস্য  আটক; চেতনা নাশক ঔষধ উদ্ধার অপরাধ দমনে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন-পুলিশ সুপার ফয়জুর রহমান স্ত্রী‌কে সম্ভ্রমহা‌নি করার অপরা‌ধে ক‌বিরাজ‌কে জবাই ক‌রে হত্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় জনগণের কথা চিন্তা করে-এমপি টগর দামুড়হুদায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারণে মাঠ দিবসে সাবেক মহাপরিচালক ড. হামিদুর রহমান -চুয়াডাঙ্গার মাটি কৃষির ঘাটি দামুড়হুদায় জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা

জাপানের সঙ্গে চমৎকার বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার।ছবি : সংগৃহীত

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া বরাবরই চমৎকার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামনের দিনগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে তা আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ পূর্তির এই শুভক্ষণে টোকিও সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে বলে জানান শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন। এরপর যৌথ বিবৃতি প্রদানের পর এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আজ, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ ওপর যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দুই দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুই পক্ষ কৃষি, শুল্ক সংক্রান্ত, প্রতিরক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পোন্নোয়ন, মেধা সম্পদ, জাহাজ রিসাইক্লিং এবং মেট্রোরেল বিষয়ে যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) এবং বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, তারা অতিরিক্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় জনগণের জীবন ও জীবিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। এ ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জাপানের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।

 

তিনি বলেন, আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর সম্পন্ন হওয়ায় পর টোকিওতে সরকারি সফর শুরু করতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং জাপান সরকারের আতিথেয়তায় আমি এবং আমার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গভীরভাবে মুগ্ধ।

 

জাপান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যে কয়েকটি দেশ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান তাদের মধ্যে একটি। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।

 

 

দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লায় ফেনসিডিল সেবনের সময় ১যুবক আটক: অর্থের বিনিময়ে

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

জাপানের সঙ্গে চমৎকার বন্ধুত্ব আরও জোরদার হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৭:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া বরাবরই চমৎকার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামনের দিনগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে তা আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ পূর্তির এই শুভক্ষণে টোকিও সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে বলে জানান শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন। এরপর যৌথ বিবৃতি প্রদানের পর এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, আজ, প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং আমি ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ ওপর যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দুই দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুই পক্ষ কৃষি, শুল্ক সংক্রান্ত, প্রতিরক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, শিল্পোন্নোয়ন, মেধা সম্পদ, জাহাজ রিসাইক্লিং এবং মেট্রোরেল বিষয়ে যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উভয় পক্ষ রোহিঙ্গা ইস্যুর পাশাপাশি মহেশখালি-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) এবং বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, তারা অতিরিক্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে স্থানীয় জনগণের জীবন ও জীবিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরেই ঢাকা-নারিতা সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। এ ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা জাপানের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।

 

তিনি বলেন, আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর সম্পন্ন হওয়ায় পর টোকিওতে সরকারি সফর শুরু করতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী কিসিদা এবং জাপান সরকারের আতিথেয়তায় আমি এবং আমার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গভীরভাবে মুগ্ধ।

 

জাপান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যে কয়েকটি দেশ ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল জাপান তাদের মধ্যে একটি। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।