চুয়াডাঙ্গা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অশান্তি-সংঘাত নয়, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

২০০৮ সালের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।’

 

রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল, সেটা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিল ২৫ দশমিক ৯ ভাগ, সেটা আমরা ৫ দশমিক ৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ মৌলিক অধিকার পাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮ সালের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।’

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাব, সেই পরকিল্পনাও আমরা নিয়েছি।‘

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, জাতির পিতার এই নীতিতে আমরা এখনো চলি।

 

বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সবসময় মানুষের কল্যাণের নিজের জীবনকে উৎসর্গ করছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।’

Powered by WooCommerce

অশান্তি-সংঘাত নয়, সবার উন্নতি চাই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেটঃ ০৫:২৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

২০০৮ সালের পর থেকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় উন্নয়ন এবং আর্থসামাজিক উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।’

 

রোববার (২৮ মে) বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে চাই। যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ ছিল, সেটা আমরা ১৮ দশমিক ৭ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। হতদরিদ্র ছিল ২৫ দশমিক ৯ ভাগ, সেটা আমরা ৫ দশমিক ৬ ভাগে আনতে পেরেছি। এ দেশের কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ মৌলিক অধিকার পাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। ২০০৮ সালের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, দীর্ঘসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।’

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাব, সেই পরকিল্পনাও আমরা নিয়েছি।‘

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, জাতির পিতার এই নীতিতে আমরা এখনো চলি।

 

বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন, সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষে ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন। ৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ মুজিব দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা সবসময় মানুষের কল্যাণের নিজের জীবনকে উৎসর্গ করছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তিতে বিশ্বাস করতেন। জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেওয়ার সময়ও তিনি শান্তির কথা বলেছিলেন। যিনি সর্বদা শান্তির কথা বলে গেছেন, তাকেই জীবন দিতে হলো। প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হচ্ছে।’